সংক্ষিপ্ত
অলিম্পিকে যে ১০জন পাক খেলোয়াড়কে পাঠানো হয়েছিল, তাদের কেউ কেন কোনও মেডেল আনতে পারল না, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে।
টোকিও অলিম্পিকে ভারতের সাফল্যে জ্বলছে পাকিস্তান (Pakistan)। ক্ষোভের আগুন এতটাই তীব্র, রীতিমতো একঘরে হতে হচ্ছে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (PM Imran Khan) সরকারকে। ভারত পারল, অথচ অলিম্পিকে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা সাফল্য পেলেন না(Olympic debacle), এই ব্যর্থতা যেন কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছে না ইসলামাবাদ। ফলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে ইমরান খান সরকারের ওপর।
ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে ক্ষোভের আঁচ পেয়ে পাক ক্রীড়ামন্ত্রী ফেহমিদা মির্জাকে ডেকে আলোচনা করেছেন ইমরান। অলিম্পিকে যে ১০জন পাক খেলোয়াড়কে পাঠানো হয়েছিল, তাদের কেউ কেন কোনও মেডেল আনতে পারল না, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে।
যদিও এই ১০ জন অসফল খেলোয়াড়ের মধ্যে জ্যাভলিনে ভালো পারফর্ম করেছেন আরশাদ নাদিম। প্রথম পাঁচে রয়েছেন তিনি। ভালো পারফর্ম করেছেন ভারোত্তলক তালহা তালিব। তবে বাকিদের অবস্থা শোচনীয়। এই ফলাফল মেনে নিতে পারছে না পাকিস্তান। বিশেষ করে ভারতের ঝুলিতে একের পর এক পদক আসায় হিংসায় জ্বলছে সীমান্ত পারের দেশ।
এদিকে, এক বৈঠকের পর মন্ত্রী আশাদ উমর জানান, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এখন সরকারের মেয়াদ শেষের বাকি দুই বছরে দেশের ক্রীড়া কাঠামোর দিকে মনোযোগ দেবেন। কারণ তিনি চান তরুণরা ক্রিকেটের মতোই অন্যান্য খেলায় দক্ষতা অর্জন করুক। সরকারি আধিকারিকরা বলছেন প্রতিবেশী দেশ ভারতে অলিম্পিকে সেরা পারফরম্যান্সের পর এই চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়ার একটি স্বর্ণসহ সাতটি পদক নিয়ে খেলাধুলার ক্ষেত্রে নতুন করে আগ্রহ তৈরি করেছে।
আসাদ বলেন, এটা ঠিক, তিন বছরের শাসনে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভা খেলাধুলার প্রতি তেমন মনোযোগ দিতে পারেনি, কারণ দেশের সামনে বহুবিধ সমস্যা রয়েছে। তবে এখন প্রধানমন্ত্রী চাইছেন খেলাধুলার পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে। তৈরি করা হতে পারে অত্যাধুনিক স্পোর্টস ইনস্টিটিউট।