সংক্ষিপ্ত
- ভারতের মত পাকিস্তানেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
- দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার পেরিয়েছে
- ৯ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে পাকিস্তান
- সময় আরও বাড়তে পারে বলে ইজ্ঞিত দিয়েছেন পাক মন্ত্রী
ভারতের মত প্রতিবেশী পাকিস্তানেও প্রতিদিনই বা়ড়ছে করোনা সংক্রমণ। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮১ জন। এই অবস্থায় ভারতের মত লকডাউন চলছে পাকিস্তানেও। যার ফলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। লকডাউনের কারণে পাকিস্তানে ১ কোটি ৮০ লক্ষেরও বেশি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইমরান মন্ত্রিসভার এক ক্ষমতাশালী মন্ত্রী।
পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আসাদ উমর জানিয়েছেন, " পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব ডেভলপমেন্ট ইকোনমিক্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশের ৭ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ২ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে চলে যাবেন।"
কেন্দ্রকে চাপে ফেলে বড় ঘোষণা সনিয়ার, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার খরচ দেবে কংগ্রেস
বিশ্বের দরবারে মোদীর ভাষণ, হাইড্রোক্লিক্লোরোকুইনের পর জানাবেন মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল
আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লক্ষ, বছরের শেষেই আসছে করোনা ভ্যাকসিন, আশ্বাস দিলেন ট্রাম্প
দেশের ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টারের দায়িত্বে থাকা উমর আরও দাবি করেছেন, লকডাউনের কারণে পাকিস্তানে কাজ হারাবেন ১ কোটি ৮০ লক্ষেরও বেশি মানুষ।
আগামী ৯ মে পর্যন্ত পাকিস্তানে লকডাউন চলছে। সেই মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে কিনা তা খুব সম্প্রতি ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে ইউরোপের করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তুলনায় পাকিস্তানের পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল বলে দাবি করছেন দেশটির পরিকল্পনা মন্ত্রী।
বর্তমানে পাকিস্তানে করোনা পরীক্ষার জন্য ৫৫টি ল্যাব রয়েছে। প্রতিদিন ১৪ হাজার পরীক্ষা করা হচ্ছে দেশটিতে। পাকিস্তানে করোনা আক্রান্তদের জন্য ১.৪০০ ভেন্টিলেটারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ২ মাসের মধ্যে আরও ৯০০টি ভেন্টিলেটার করোনা রোগীদের জন্য আসছে বলে জানান মন্ত্রী আসাদ উমর।
পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ ঘটেছে পঞ্জাবে। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৪৯৪। এরপরেই রয়েছে সিন্ধ। সিন্ধে আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৪৬৫। তারপর রয়েছে যথাক্রমে খাইবার-পাখতুনখাওয়া, বালোচিস্তান , ইসলামাবাদ, গিলগিট-বালতিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর। বর্তমানে পাকিস্তানে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ৪৫৭। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ হাজারের বেশি মানুষ।