সংক্ষিপ্ত
মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরীর বক্তব্য ছিল ভারতের হত্যাকাণ্ড এখন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। অন্য দেশে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা থেকে ভারত পাকিস্তানের একাধিক ব্যক্তির হত্যার সঙ্গে যুক্ত।
ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্স বা ISPR র প্রধান মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরীর দাবির পরই আবারও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে পাকিস্তান। টার্গেট কিলিংএ ভারতীয়দের হাত রয়েছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছিলেন পাকিন্তানের এই আমলা। কিন্তু এই দাবি করে ভারতকে হেনস্থা করতে চেয়েছিলেন। পরিবর্তে বিস্বের কাছে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের। মেজর জেনারেল চৌধুরীর দাবি ছিল যে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তি ভারতের টার্গেট কিলিংএর শিকার। তিনি আরও বলেছেন এজাতীয় বিষয়ে তাঁর হাতে রয়েছে অকাঠ্য প্রমাণ।
মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরীর বক্তব্য ছিল 'ভারতের হত্যাকাণ্ড এখন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। অন্য দেশে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা থেকে ভারত পাকিস্তানের একাধিক ব্যক্তির হত্যার সঙ্গে যুক্ত। ' মঙ্গলবার রাওলপিণ্ডর হেডকোয়ার্টার্সে সাংবাদিক বৈঠকে ভারত বিদ্বেষী কথা বলেছিলেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন, 'পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকার কাছে এজাতীয় হত্যাকাণ্ডের পিছনে ভারতের যে হাত রয়েছে, ভারত যে জড়িয়ে রয়েছে তার অকাট্য প্রমাণ হাতে রয়েছে।' তিনি আরও বলন, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সীমান্ত আগ্রাসনের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জগুলি থেকে মনোযোগ সরানোর জন্য ও পাকিস্তান - বিরোধী নির্বাচনী বর্ণানাক উৎসাহিত করার জন্যই ভারত এই কৌশলগুলি নিয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, ২০২৩ সালে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত কমপক্ষে ১২০টি অনুমানমূল, ১৫টি আকাশপথ ও ৫৯টি প্রযুক্তিগত সীমা লঙ্ঘন করেছে। তিনি পাকিস্তানের কথা বলতে দিয়ে নাক গলিয়েছেন ভারতেও। তিনি বলেছেন, ভারতে লোকসভা নির্বাচন চলছে। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের মতামতকে দমিয়ে রাখার জন্যও ভারত বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছে। তার স্পষ্ট তথ্য তাদের হাতে রয়েছে। তিনি রীতিমত প্রশ্ন তুলে বসেছেন, পাঁচটি পৃথক দিনে পাঁচটি আসনের নির্বাচন হচ্ছে। এটির একটি মাত্র উদ্দেশ্য হল জম্মু ও কাশ্মীরীদের কণ্ঠস্বরকে দমিয়ে রাখা।
ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের এই অভিযোগ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে যথেষ্ট সন্দেহ ও উপহাসের সম্মুখীন হয়েছে অনেক পর্যবেক্ষক পাকিস্তানের দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে সুরু করেছে। বিশেষ করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক ও ভারতের বিরুদ্ধে অপ্রমাণিত এই প্রথম নয়, এর আগেও করেছে পাকিস্তান। তাই পাকিস্তানের এই দাবির গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছে। পাশাপাশি ভারতে লোকসভা নির্বাচন চলছে- তাই পাকিস্তানের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ইতিমধ্যেই ভারতের এক টুইটার ব্যবহারকারী কিছুটা মজা করেই বলেছেন, বিজেপি এজাতীয় প্রচারের কারণে অনেক টাকা নির্বাচনী প্রচার থেকে বাঁচাতে পেরেছে। অন্যজনের মন্তব্য, পাকিস্তানেও পাপ্পু রয়েছে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল- রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে বিজেপির নেতারা পাপ্পু বলে। অন্য একজন বলেছেন, পাকিস্তানকেই টাইট দেওয়াই মোদীজিকে ভোট দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।