সংক্ষিপ্ত

প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ খান আচাকজাই ছিলেন সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) প্রার্থী। জারদারি ২৫৫টি ভোট পেয়েছেন এবং তার প্রতিপক্ষ ১১৯ ভোট পেয়েছেন। পার্লামেন্ট হাউস ও প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলি ভবনগুলোকে ভোট কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়।

পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি এবং প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যরা শনিবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ভোট দিয়েছেন, যেখানে ১৪ তম প্রেসিডেন্ট পদে জয় লাভ করেছেন আসিফ আলী জারদারি। জারদারি নির্বাচিত হওয়ার ফলে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৬৮ বছর বয়সী জারদারিকে তাদের যৌথ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল। সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) প্রার্থী মাহমুদ খান আচাকজাই (৭৫) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

জারদারি ২৫৫টি ভোট পেয়েছেন এবং তার প্রতিপক্ষ ১১৯ ভোট পেয়েছেন। পার্লামেন্ট হাউস ও প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলি ভবনগুলোকে ভোট কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়। পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন আসিফ জারদারি। গুরুত্বপূর্ণ নেতারা যারা তাদের ভোট ব্যবহার করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, পিপিপি নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, পিটিআই পার্টির নেতা ওমর আইয়ুব এবং পিএমএল-এন এর ইসহাক দার। এর আগে বিলাওয়াল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তার বাবার সমর্থনে ভোট দেওয়ার জন্য এমপিদের কাছে আবেদন করেছিলেন।

পাকিস্তানের ১৪ তম রাষ্ট্রপতির জন্য ভোটগ্রহণ সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। পাকিস্তানের নতুন রাষ্ট্রপতি বর্তমান রাষ্ট্রপতি ডঃ আরিফ আলভির স্থলাভিষিক্ত হবেন, যার পাঁচ বছরের মেয়াদ গত বছর শেষ হয়েছে। তবে নতুন ইলেক্টোরাল কলেজ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি তার পদে বহাল থাকবেন। সংবিধান অনুসারে, রাষ্ট্রপতি পরোক্ষভাবে একটি নির্বাচনী কলেজ দ্বারা নির্বাচিত হন, যার মধ্যে ফেডারেল এবং রাজ্য নীতি নির্ধারকগণ অন্তর্ভুক্ত থাকে। জারদারি সংবিধানের বিধান অনুসারে জাতীয় পরিষদ এবং চারটি প্রাদেশিক পরিষদের নব-নির্বাচিত সদস্যদের ইলেক্টোরাল কলেজ দ্বারা নির্বাচিত হন।

একজন ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা জারদারি পাকিস্তানের নিহত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর স্বামী। গত ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত ভোটে তিনি ওই স্থানের জন্য নির্বাচিত হন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ৩২৫ জন সদস্য রয়েছে। এছাড়াও ৯১ জন সেনেটর রয়েছে। পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলিতে ৩৫৪ জন, সিন্ধু অ্যাসেম্বলিতে ১৫৭ জন, খাইবার পাখতুনখোয়ায় ১১৭ জন এবং বেলুচিস্তান অ্যাসেম্বলিতে ৬৫ জন সদস্য রয়েছেন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।