সংক্ষিপ্ত

মন্দিরটি, প্রায় ১৫০ বছর আগে নির্মিত বলে মনে করা হয়। সিন্ধুর প্রাদেশিক রাজধানী করাচিতে এই ধ্বংসযজ্ঞ চলে। তার আগে এই মন্দিরটি বিপজ্জনক ও পুরোনো ভবন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। রবিবার, হামলাকারীরা মন্দিরে এলোমেলোভাবে গুলি চালায়।

দুই দিনেরও কম সময়ের মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটি মন্দির ভাঙচুরের পর, রবিবার পাকিস্তানের দক্ষিণ সিন্ধু অঞ্চলে রকেট লঞ্চার দিয়ে আর একটি হিন্দু মন্দিরে হামলা চলল। দুটি ঘটনাতেই রীতিমত ক্ষতি হয়েছে মন্দিরদুটির। সিন্ধু প্রদেশের কাশমোর অঞ্চলে, হামলাকারীরা স্থানীয় হিন্দুদের তৈরি করা একটি মন্দিরের পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িগুলিতেও হামলা চালায় বলে অভিযোগ। করাচির সোলজার বাজারের মারি মাতা মন্দিরটিতে শুক্রবার গভীর রাতে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে এসে বুলডোজ করা হয়।

মন্দিরটি, প্রায় ১৫০ বছর আগে নির্মিত বলে মনে করা হয়। সিন্ধুর প্রাদেশিক রাজধানী করাচিতে এই ধ্বংসযজ্ঞ চলে। তার আগে এই মন্দিরটি বিপজ্জনক ও পুরোনো ভবন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। রবিবার, হামলাকারীরা মন্দিরে এলোমেলোভাবে গুলি চালায়। পুলিশে গোটা ঘটনা জানানো হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাশমোর-কান্ধকোট এসএসপি ইরফান সাম্মোর নেতৃত্বে একটি পুলিশ দল।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “রবিবার ভোররাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তারা নির্বিচারে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। আমরা এলাকায় একটি অনুসন্ধান অভিযান পরিচালনা করছি।” এসএসপি সামু হিন্দু সম্প্রদায়কে প্রতিশ্রুতি দেনযে তাদের নিরাপত্তার কোনও অভাব হবে না। উল্লেখ্য কাশমোর অঞ্চলে প্রচুর হিন্দু বসবাস করেন।

রিপোর্ট অনুসারে, সিন্ধুর স্বরাষ্ট্র দফতরকে অবিলম্বে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার দাবি জানানো হয়েছে। করাচিতে অসংখ্য ঐতিহাসিক হিন্দু মন্দির রয়েছে। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী হল হিন্দুরা। হিন্দুরা সিন্ধু প্রদেশের জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ, যেখানে তারা মুসলমানদের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করে এবং একই ভাষা ও সংস্কৃতি ভাগ করে নেয়।

চলতি বছরের জুলাই মাসেই পাকিস্তানের করাচিতে ১৫০ বছরের পুরনো একটি হিন্দু মন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ কারণে পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন আতঙ্কে ছিলেন। খবরে বলা হয়েছে, করাচির সোলজার বাজারে মারি মাতার একটি মন্দির রয়েছে। এটি ১৫০ বছরেরও বেশি পুরনো মন্দির। ১৪ জুলাই রাতে শপিং প্লাজা নির্মাণের জন্য অজ্ঞাত নির্মাতা এটি ভেঙে ফেলে। বলা হচ্ছে, মন্দিরের জমি এক শপিং প্লাজার প্রোমোটারের কাছে ৭ কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এরপর শুক্রবার রাতে পুলিশের উপস্থিতিতে মন্দিরে বুলডোজার নিক্ষেপ করা হয়। গত বছরের জুন মাসেই মারি মাতা মন্দিরে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়।