পাকিস্তানি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে খাইবার পাখতুনখোয়ার বাট্টগ্রামের আলাই তহসিল এলাকায়। স্কুলের শিশু এবং তাদের ২ শিক্ষক কেবল কারে আরোহী ছিলেন। প্রতিদিনের মতো স্কুলে যাওয়ার জন্য সকাল ৭টায় কেবল কারে করে গভীর উপত্যকা পার হচ্ছিলেন

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে প্রায় ২৭৪ মিটার (প্রায় ৯০০ ফুট) উচ্চতায় ৬ শিশুসহ ৮ জনের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। তারা সবাই একটি কেবল কারে আটকে পড়েছে, যেটি একটি পাহাড়ী নদীর উপরে একটি উপত্যকার মাঝখানে প্রায় ঝুলছে। উদ্ধারের জন্য পাকিস্তানি সেনাদের ডাকা হয়েছে, যাদের সেনারা হেলিকপ্টারে বসে কেবল কারে থেকে শিশুদের বের করার চেষ্টা করছে, শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত দুজন শিশুকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে একটি সেনা হেলিকপ্টার কেবল কারের চারপাশে উড়ছে এবং এর একজন জওয়ানকে দড়ি ব্যবহার করে ঝুলে কেবল কারটিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে।

কেবল কারে চড়ে স্কুলে যাচ্ছিল পড়ুয়া ও শিক্ষকরা

পাকিস্তানি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে খাইবার পাখতুনখোয়ার বাট্টগ্রামের আলাই তহসিল এলাকায়। স্কুলের শিশু এবং তাদের ২ শিক্ষক কেবল কারে আরোহী ছিলেন। প্রতিদিনের মতো স্কুলে যাওয়ার জন্য সকাল ৭টায় কেবল কারে করে গভীর উপত্যকা পার হচ্ছিলেন এই লোকেরা। 

Scroll to load tweet…

কেবল কারে উপস্থিত একজন শিক্ষক ফোনে গণমাধ্যমকে জানান, প্রতিদিন প্রায় দেড়শ শিশু উপত্যকা পাড়ি দিয়ে স্কুলে যায়। এই কেবল কারটি একটি প্রাইভেট কোম্পানির, যারা এখানে নদীর ওপর সেতু নির্মাণ না করায় কেবল কার চালানোর অনুমতি পেয়েছে।

দুটি তার বিকল হয়ে কেবল কারটি আটকে আছে

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার, যখন শিশু এবং তাদের শিক্ষক কেবল কারে বসে উপত্যকার মাঝখানে পৌঁছায়, তখন দুটি তার ভেঙে যায় এবং দুমড়ে-মুচড়ে যায়, যার কারণে কেবল কারটি মাঝখানে আটকে যায়। উপত্যকায় যে জায়গায় কেবল কার আটকে আছে সেখান থেকে নীচের মাটির দূরত্ব প্রায় ২৭৪ মিটার অর্থাৎ ৯০০ ফুট। কেবল কারে বসে শিক্ষক জাফর ইকবাল তার সহকর্মীদের ফোনে দুর্ঘটনার কথা জানান, পরে সংবাদমাধ্যম ঘটনাস্থলে পৌঁছে। প্রশাসন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের কাছে সাহায্য চেয়েছিল, কিন্তু তাদের কাছে এত উচ্চতায় বাতাসে উদ্ধারের সরঞ্জাম ছিল না। এর পর পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে উদ্ধার অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পাকিস্তানি সেনা দল দুটি হেলিকপ্টারে বসে কেবল কারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কেবলকারে বসা বাকি লোকজনকে হেলিকপ্টারে তোলার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই দুই শিশুকে উদ্ধার করা গিয়েছে।