সংক্ষিপ্ত

শাহজাদার স্ত্রী নিজের একটি সমাজ মাধ্যমের ব্লগে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী।শাহজাদা দাউদের বোন জানিয়েছেন, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার বিষয়ে প্রথম থেকেই দাউদ যথেষ্ট উৎসাহী ছিলেন।

 

নিখোঁজ টাইটান ডুবোজাহাজ বা সাবমেরিনে থাকা সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার মার্কিন কোস্ট গার্ড এই মর্মান্তিক খরব নিশ্চিত করেছে। টাইটান সাবমেরিনে মৃত যাত্রীদের তালিকায় ছিলেন পাক-বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শাহজাদা দাউদ। ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা থেকে ২০১৯ সালে বেঁচে ফিরলেও এবার আর শেষ রক্ষা হল না। তবে শাহজাদা একা নয়, তাঁর সঙ্গে সলিস সমাধি হয়েছে তাঁর ১৯ বছরের পুত্র সুলেমানের।

শাহজাদার স্ত্রী নিজের একটি সমাজ মাধ্যমের ব্লগে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। তিনি আরও জানমিয়েছেন, তাঁরা সেই বিমানে সপরিবারে ছিলেন। সেটি মাঝ আকাশেয়ই দুর্ঘটনার কবলে প়়ড়ে। সেবার স্বামীর সঙ্গে কোনও রকম যেযাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন স্ত্রী ক্রিস্টিন। তিনি তাঁর ব্লগে আরও জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীর অ্যাডভেঞ্চারের দারুন শখ ছিল। স্বামীর সঙ্গে একাধিক অ্যাডভেঞ্চারের সাক্ষী ছিলেন তিনি। তবে বিমানটি কোথায় থেকে কোথায় যাচ্ছিল তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। কিন্তু তিনি দুর্ঘটনার কবলে পড়া বিমানে যে ক্রিস্টিন ভয় পেয়েছিলেন তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন।

তবে শাহজাদা দাউদের বোন জানিয়েছেন, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার বিষয়ে প্রথম থেকেই দাউদ যথেষ্ট উৎসাহী ছিলেন। তাঁর বোন আরও জানিয়েছেন, শাহজাদার পুত্র সুলেমনের কল্পনবিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ ছিল। সেটি আরয়ও বাড়িয়ে তোলার জন্য শাহজাদা সুলেমনকেও সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, সুলোমনের যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না। শাহজাদ একপ্রকার জোর করেই সুলোমনকে নিয়ে গিয়েছিলেন। এই পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ সদস্য জানিয়েছেন, ছেলে শুধুমাত্র ফাদার্স ডে-তে বাবাকে খুশি করার জন্যই টাইটানিক দেখার অ্যাডভেঞ্চারে সামিল হয়েছিল। আর সেই কারণেই বেঘোরে প্রাণ গেল।

১১১ বছরের পুরনো টাইটাইনিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য অতল গহ্বরে রওনা দিয়েছিল সাবমেরিন টাইটান। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর চার দিন ধরে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়। তারপরই প্রশাসন জানিয়েদেয় সব শেষ। টাইটানে ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন ছিল। কানাডা প্রশাসনের অনুমান জলের তলেয় বিস্ফোরণের কারণেই সাবমেরিনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। অতল গহ্বরে অতিরিক্ত জলের চাপ সহ্য করতে না পেরেই বিস্ফোরণ হয়। মহাসাগরের ১২ হাজার ৪০০ ফুট নিচে যেখানে টাইটানিকের ধ্বংসাশেষ রয়েছে সেখানেই টাইটান ধ্বংস হয় বলেও অনুমান। এই অংশে জলের চাপ ছিল প্রায় ৬ হাজার পাউন্ড প্রতি স্কোয়্যার ইঞ্চি। সেখানে সমুদ্রের উপরিভাগের জলের চাপ থাকে ১৪.৭ পাউন্ড প্রতি স্কোয়্যার ইঞ্চি। গবেষকদের মতে একটি বিশালাকার হাঙরের কামড়ের চাপ ৪ হাজার পাউন্ড প্রতি স্কোয়্যার ইঞ্চি। সমুদ্রের তলদেশে তারচেয়েও বেশি চাপ অনুভব করেছিল ওই সাবমেরিনের যাত্রীরা।বৃহস্পতিবার সাবমেরিনের ধ্বংসাবশে দেখতে পায় অনুসন্ধানকারী দল।

আরও পডুনঃ

'পাটনার বৈঠক রাজনৈতিক পরিবারগুলির গেটটুগেদার', রাজ্যপাল ইস্যুতে সুর নরম করে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

Titan Submarine: ১,৬০০ ফুট গভীরে টাইটান সাবমেরিন-এর ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার, কোনও পর্যটক জীবিত না থাকার কথা নিশ্চিত

'ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক বিশ্বের কাছে গুরুত্বপূর্ণ', বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক