সংক্ষিপ্ত

একটি মন্দিরকে পশু খামারে পরিণত করার ভিডিও ক্লিপ প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিওতে স্পষ্ট কীভাবে একই শহরের আরেকটি মন্দিরকে পশুর খামার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ঘটনা পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

ফের পাকিস্তানে মন্দির নিয়ে বিতর্ক। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে পাকিস্তানের সাদিকাবাদের আহমেদপুর লুম্মা শহরের একটি মন্দিরের ছবি তুলে ধরেছে। দেখা গিয়েছে এই মন্দির চত্বরে তৈরি করা হয়েছে পশু খানার। যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে গরু, ছাগল ও হাঁস। তাদের মলমূত্রে গোটা চত্বর নোংরা হয়ে আছে। স্বাভাবিকভাবেই এই এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। সাধারণ নেটিজেনদের মনে ব্যাপক ক্ষোভ ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। কীভাবে একটি কৃষ্ণ মন্দিরকে মাদ্রাসা এবং মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছিল তা এর আগেই আপনাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছিল।

এবার একটি মন্দিরকে পশু খামারে পরিণত করার ভিডিও ক্লিপ প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিওতে স্পষ্ট কীভাবে একই শহরের আরেকটি মন্দিরকে পশুর খামার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও। এই ঘটনাগুলি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এবং পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

 

 

ভাইরাল ভিডিওটিতে একসময়ের পবিত্র স্থানে দেখানো হয়েছে কীভাবে এখন গবাদি পশু, ছাগল, হাঁস এবং মুরগির আবাসস্থল তৈরি করা হয়েছে। নেটিজেনরা ধর্মীয় স্থানের সম্মান ও সংরক্ষণের বিষয়ে আরও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সুরক্ষা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ফাঁকগুলি তুলে ধরে বলেই মনে করছেন এক্স ব্যবহারকারীরা।

পাকিস্তানে হিন্দু মন্দিরগুলির সঙ্গে কী ব্যবহার করা হয়, তা গোটা বিশ্বের সামনে বারবার উঠে এসেছে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনাও সর্বজনবিদিত। অনেক মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবার কিছু মন্দির মাদ্রাসা ও মসজিদে রূপান্তরিত হয়েছে। এমনই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছুদিন আগে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের। শ্রীকৃষ্ণ হিন্দু মন্দির সাদিকাবাদ আহমেদপুর লাম্মা সিটিতে অবস্থিত। এটি এখন মাদ্রাসা ও মসজিদে রূপান্তরিত হয়েছে। এখানে উপস্থিত মৌলবীরা বলেন, আগে এটি হিন্দুদের উপাসনালয় ছিল কিন্তু আমাদের বাপ-দাদার আমল থেকে এখানে একটি মাদ্রাসা তৈরি করা হয়েছে। মন্দির চত্বরে একটি মসজিদ রয়েছে, যেখানে লোকেরা নামাজ পড়ে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।