সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের। শ্রীকৃষ্ণ হিন্দু মন্দির সাদিকাবাদ আহমেদপুর লাম্মা সিটিতে অবস্থিত। এটি এখন মাদ্রাসা ও মসজিদে রূপান্তরিত হয়েছে।

পাকিস্তানে হিন্দু মন্দিরগুলির সঙ্গে কী ব্যবহার করা হয়, তা গোটা বিশ্বের সামনে বারবার উঠে এসেছে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনাও সর্বজনবিদিত। অনেক মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবার কিছু মন্দির মাদ্রাসা ও মসজিদে রূপান্তরিত হয়েছে। এমনই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিওতে মসজিদের মৌলবীরা বলছেন যে আগে এটি হিন্দুদের উপাসনালয় ছিল কিন্তু এখন এটি মুসলমানদের উপাসনালয়ে পরিণত হয়েছে। এখন এখানে মাদ্রাসায় পড়াশুনা হয়, অন্য দিকে নামাজও পড়া হয়।

পাঞ্জাব প্রদেশের শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরকে মাদ্রাসায় রূপান্তরিত

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের। শ্রীকৃষ্ণ হিন্দু মন্দির সাদিকাবাদ আহমেদপুর লাম্মা সিটিতে অবস্থিত। এটি এখন মাদ্রাসা ও মসজিদে রূপান্তরিত হয়েছে। এখানে উপস্থিত মৌলবীরা বলেন, আগে এটি হিন্দুদের উপাসনালয় ছিল কিন্তু আমাদের বাপ-দাদার আমল থেকে এখানে একটি মাদ্রাসা তৈরি করা হয়েছে। মন্দির চত্বরে একটি মসজিদ রয়েছে, যেখানে লোকেরা নামাজ পড়ে। কিছু লোক এর প্রতিবাদ করলে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায় মন্দিরের অস্তিত্বের প্রমাণ চায়। যেখানে ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায় মাদ্রাসার প্রধান গেটে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের মূর্তি খোদাই করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মন্দিরের দেয়ালে ও দরজায় হিন্দু দেবদেবীর মূর্তিও স্পষ্ট দেখা যায়।

Scroll to load tweet…

পাকিস্তানের হিংলাজ মন্দিরে ভাঙচুর

সম্প্রতি পাকিস্তানের হিংলাজ মন্দিরে হামলা চালায় একদল উন্মত্ত জনতা। এর আগেও পাকিস্তান থেকে বারবার খবর এসেছে যে নানা মন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছে। অনেক সময় মসজিদ থেকে মন্দিরে হামলার ঘোষণা করা হয় বলেও অভিযোগ। হিন্দু মন্দিরে হামলা শুধু পাকিস্তানেই নয়, বাংলাদেশের মতো দেশেও সাধারণ ঘটনা। গত বছরই বাংলাদেশে একটি হিন্দু মন্দিরে একটি ধর্মীয় জনতা হামলা চালিয়ে মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পাকিস্তানে হিন্দু মন্দিরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো নীতি বা নিয়ম নেই।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।