সংক্ষিপ্ত

IMF Loan to Pakistan: যে দেশ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসবাদকে উস্কানি এবং মদত দেয়, তাদেরকেই আবার লোন দিতে চলেছে IMF। 

IMF Loan to Pakistan: ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা লোন দিতে চলেছে আইএমএফ (imf bailout pakistan)। তবে ভারত আইএমএফ-এর সেই ঋণ সংক্রান্ত বোর্ডের বৈঠকে ভোটদান থেকে বিরত থাকল (imf pakistan)। 

ভারত পরিষ্কার জানায়, এর আগে এই ঋণের টাকার সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রে  ব্যাপক খারাপ ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে পাকিস্তানের (imf loan to pakistan latest news)। তাই তারা ভোট দেবে না সেই দেশকে। তবে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর পাকিস্তানকে ফের একবার ঋণ মঞ্জুর করল আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিল আইএমএফ (imf approved loan for pakistan 2025)। 

 

 

বোঝাই যাচ্ছে যে, ভারতের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও এই ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে 

শুক্রবার রাতে, এই তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন খোদ পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। প্রসঙ্গত, এর আগেও বিপুল পরিমাণ ঋণে জর্জরিত হয়েছিল পাকিস্তান (pakistan economy)। কিন্তু তারপরেও সেই দেশকে ঋণ মঞ্জুর করার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আইএমএফ-এর ভূমিকা নিয়ে। তার মধ্যে বর্তমানে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়ার প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে (pakistan imf)। 

ভোটদানে বিরত ভারত

আইএমএফের নিয়মানুযায়ী, ভোটাভুটির ক্ষেত্রে বিরোধিতার কোনওরকম সুযোগ নেই। অর্থাৎ, প্রস্তাবের বিপক্ষে কোনও ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই (imf loan pakistan)। সমর্থন নাহলে ভোটদানে বিরত থাকতে হবে। তবে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকে লোন না দেওয়ার সপক্ষে ভারতের জোরালো যুক্তি থাকলেও ভোটাভুটিতে কোনওভাবেই বিপক্ষে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। তাই ভোটদানে বিরত থেকেই সেই প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে (imf meeting today time)।

বিষয়টা ঠিক কী হল?

শুক্রবার ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসে আইএমএফ-এর ঋণ সংক্রান্ত বোর্ড (imf loan)। সেখানেই ভারত রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায় যে, আইএমএফ-এর ঋণ পাওয়ার যে শর্ত রয়েছে, তা মানতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। ভারতের তরফে বলা হয়, ‘‘আইএমএফ-এর কাছ থেকে দীর্ঘদিন লোন নিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে খারাপ নজির তৈরি করেছে তারা। এমনকি, আইএমএফ প্রকল্পের শর্তও মানা হয়নি।’’

 

 

ভারত কী বলল?

ভারত আরও অভিযোগ তোলে, ঋণের টাকা অনেকক্ষেত্রে সীমান্তে সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করেছে পাকিস্তান। গত ২৮ বছর ধরে আইএমএফ-এর কাছ থেকে ঋণ পেয়ে এসেছে পাক সরকার। গত ২০১৯ সাল থেকে চারটি আইএমএফ প্রকল্প হয়েছে। আগের প্রকল্পগুলির ঋণের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে পাকিস্তান আরও একটা প্রকল্পের অধীনে ঋণ চাইতে পারেনা কখনোই। 

ঠিক সেই কারণেই তাদের লোন নেওয়া অর্থের সদ্ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। ভারত এও জানায় যে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বিষয়ে সেই দেশের সেনা বেশি নাক গলায় বলেই বহু নীতি রূপায়ণ করা সম্ভব হয় না। সংস্কারমূলক একাধিক পদক্ষেপ বাধাপ্রাপ্ত হয়। পাকিস্তানে একটি গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক বিষয়ে নাক গলায় সেনা। আর ঠিক সেই কারণেই, ঋণের শর্ত মানেনি পাকিস্তান।

 

 

তবে অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতের এই বক্তব্য বিচার করছে আইএমএফ। কেন ভারত ভোটদানে বিরত থাকল, তাও সবটা শুনেছে তারা। যদিও পাকিস্তানকে তারপরেও ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে আইএমএফ-এর তরফ থেকে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।