সংক্ষিপ্ত
অঞ্জু রাজস্থানের বাসিন্দা এবং বিবাহিত। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৫ বছর বয়সি অঞ্জু এবং ২৯ বছর বয়সি নাসেরুল্লাহর বন্ধুত্ব জমে ফেসবুকে। সেই বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয় অচিরেই।
এ যেন আরেক সীমা হায়দার। তফাৎ শুধু দেশের। তবে দেশের ভেদ কী আর প্রেম মানে! এখানেও সেই হার না মানা অদম্য-একরোখা প্রেমের কাহিনী। বদলে গিয়েছে শুধু চরিত্ররা। পাকিস্তানী যুবতী সীমা হায়দারের জায়গায় এবার এলেন ভারতের রাজস্থানের অঞ্জু। সীমা হায়দারকে নিয়ে হইচই এখনও শেষ হয় নি। আর তার মধ্যেই নতুন কাহিনী নিয়ে এলেন রাজস্থানের অঞ্জু। প্রেমের টান উপেক্ষা করতে না পেরে স্বামী-পরিবার সব পিছনে ফেলে ছুটে গিয়েছেন তিনি পাকিস্তানে।
সম্প্রতি তিনি তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়াতে গিয়েছেন বলে রবিবার দাবি করেছে সংবাদমাধ্যম ‘আজ নিউজ’। জানা গিয়েছে অঞ্জু রাজস্থানের বাসিন্দা এবং বিবাহিত। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৫ বছর বয়সি অঞ্জু এবং ২৯ বছর বয়সি নাসেরুল্লাহর বন্ধুত্ব জমে ফেসবুকে। সেই বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয় অচিরেই।
তবে সীমার মতো অবৈধ ভাবে প্রতিবেশী দেশে প্রবেশ করেননি অঞ্জু। রীতিমতো পাকিস্তান ভ্রমণের বৈধ কাগজপত্র এবং ভিসা নিয়ে তিনি সে দেশে প্রবেশ করেছেন। খাইবার পাখতুনখোয়ার আপার দিরের পুলিশ আধিকারিক জাভেদ খান জানিয়েছেন, অঞ্জু আইনত ভাবে এবং বৈধ ভিসা নিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছিলেন। পাকিস্তানে প্রবেশের পর অঞ্জু তাঁর প্রেমিক নাসেরের সঙ্গে চার বছরের সম্পর্কের প্রমাণ দিয়েছেন বলেও নাকি জাভেদ জানিয়েছেন। সীমার মতো সন্তানদের সঙ্গে করেও নিয়ে যাননি অঞ্জু।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অঞ্জু ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন এবং ইসলামাবাদে যান। ভারতে এক বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত অঞ্জু জানিয়েছেন, তিনি পাকিস্তানে গেলেও নাসেরকে বিয়ে করার পরিকল্পনা করে যাননি। অন্য দিকে, নাসেরের পরিবার নাকি জানিয়েছে, অঞ্জু দর্শনীয় স্থান দেখার জন্য পাকিস্তান সফরে রয়েছেন। তাঁর কাছে সব নথি ঠিকঠাক থাকায়, পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়। তাঁকে নিরাপত্তাও দেওয়া হয়। নাসের ইতিমধ্যেই অঞ্জুকে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গা ঘুরিয়ে দেখাতে শুরু করেছেন বলে খবর।
এদিকে, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অঞ্জু তাঁর স্বামী অরবিন্দকে জানিয়েছিলেন, তিনি কয়েক দিনের জন্য বাপের বাড়ি জয়পুরে যাচ্ছেন। অরবিন্দ আরও জানিয়েছেন, অঞ্জু হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। তবে রবিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বিকেল ৪টে নাগাদ অঞ্জু অরবিন্দকে ফোন করেন। তখন অঞ্জু জানান, তিনি লাহোরে রয়েছেন। দু’-তিন দিনের মধ্যে তিনি বাড়ি ফিরে আসবেন বলেও নাকি অরবিন্দকে জানান অঞ্জু।