সংক্ষিপ্ত
৭০ বছরের ইমরান খানকে এদিন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টার কিছু পরে আদালতে পেশ করা হয়। তাঁরে সশরীরে আদালতে পেশ করার নির্দেশ ছিল। নিরাপত্তার কারণে শুনানি দুই ঘণ্টা পিছেয়ে দেওয়া হয়।
সাময়িক স্বস্তি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ দুর্নীটির মামলায় তাঁকে সুরক্ষামূলক জামিন দিয়েছেন। বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব ও বিচারপতি সামান রাফাত ইমতিয়াজের সমন্বয় গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ আল কাদির ট্রাস্ট মামলার শোনে। সুপ্রিম কোর্ট গতকালই ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে ইমরানের গ্রেফতারিকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছিল। তার এক দিন পরেই হাইকোর্টেও স্বস্তি পেলেম পিটিআই নেতা ইমরান খান। জিও নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী ইমরান খানকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতার করতে পারবে পাকিস্তান প্রশাসন। আদালত আরও বলেছে, ইমরান খানকে যদি গ্রেফতার করা হয় তাহলে দেশজুড়ে আবারও নতুন করে অস্তিরতা তৈরি হবে।
৭০ বছরের ইমরান খানকে এদিন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টার কিছু পরে আদালতে পেশ করা হয়। তাঁরে সশরীরে আদালতে পেশ করার নির্দেশ ছিল। নিরাপত্তার কারণে শুনানি দুই ঘণ্টা পিছেয়ে দেওয়া হয়। কারণ ইমরান খানের পক্ষে আদালতে স্লোগান ওঠে। তাতেই দুই বিচারপতি আদালত কক্ষ ত্যাগ করেন। ক্ষুব্ধ বিচারপতিরা পরে ঘোষণা করেন যে জুমার নামাজের পরে আবার শুনানি শুরু হবে। আর সেই কারণে শুনানির সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। এদিন ইমরানের আইনজীবীরা আদালতে চারটি অতিরিক্ত অনুরোধ দাখিল করেছেন। যেখানে তাদের আবেদন ছিল তেহরিক ই ইনসাফের বিরুদ্ধে সমস্ত মামলাকে একত্রিক করে শুনানি করতে হবে।
পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার ইমরান খানের গ্রেফতারি বেআইনি বলে রায় দিয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে। এই রায়ের পরই তাঁকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এদিনই পাকিস্তানের জাতীয় অ্যাকাউন্টটেবিলিটি ব্যুরো বা National Accountability Bureau (NAB)কে রীতিমত ধকম দেয় পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার ৭০ বছরের ইমরান খানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে গ্রেফতার করেছিল ন্যাব। বুধবার আদালত ইমরানকে ৮ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এদিনই পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খানকে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেয়। তারপরই মুক্তির কথা ঘোষণা করে।
ইমরান খানের গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল পাকিস্তান। গোটা দেশ জুড়ে আসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছিল। পরিস্থিতি এতটাই অস্থির ছিল যে পাকিস্তান সরকারকে পঞ্জাব , খাইবার পাখতুনখাওয়া, বেলুচিস্থানে সেনা বহিনী মোতায়েন করতে হয়েছিল। হিংসার ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর তারা বিন্দিয়াল, বিচারপতি আলি মাজহার ও বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহরের বেঞ্চ ইমরান খানকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়। এদিন আদালত যেভাবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তারও তীব্র সমালোচনা করে। গত বছর এপ্রিল মাসে ইমরানকে সরিয়ে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। তারপর থেকেই পাকিস্তান সরকার একাধিক মামলায় তাঁকে হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ।