সংক্ষিপ্ত
ভারত-বিরোধী জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য ‘ওয়ান্টেড’ ছিলেন রিয়াজ আহমেদ। মসজিদ চত্বরের অন্দরেই তাঁকে খুন করে দেয় অজানা আততায়ীরা। পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে রাজধানী মুজাফফরাবাদ থেকে ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে রাওয়ালকোটের একটি মসজিদে এই ঘটনা ঘটেছে।
পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হল কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার কম্যান্ডার রিয়াজ আহমেদ ওরফে আবু কাশিমকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদ থেকে ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে রাওয়ালকোটের আল-কুদুস মসজিদ চত্বরে অজ্ঞাতপরিচয়ের আততায়ীরা রিয়াজকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। একজন শীর্ষ ইসলামি গেরিলা নেতা এই হত্যাকে ‘টার্গেটেড কিলিং’ (লক্ষ্য করে হত্যা) বলে অভিহিত করেছেন।
কাশ্মীর উপত্যকায় বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলা এবং নাশকতার মামলা রয়েছে মৃত রিয়াজ আহমেদের বিরুদ্ধে। তাঁর নেতৃত্বেই জানুয়ারি মাসে ধানগিরি এবং জুন মাসে ধাঙ্গরি এলাকায় নিরাপরাধ গ্রামবাসীদের হত্যা করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। ধাঙ্গরিতে ভারতীয় সেনার চর সন্দেহ করে সাত জন নিরপরাধ গ্রামবাসীকে খুন করেছিল লঙ্কর জঙ্গিরা। প্রকৃতপক্ষে এই রিয়াজ আহমেদ মূলত ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সুরানকোট এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৯৯ সালে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে তিনি যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনে। স্থানীয় মানুষজন তাঁকে জামাত-উদ-দাওয়া (JuD) সংগঠনের সাথে যুক্ত বলে জানতেন, এই সংগঠন একটি দাতব্য সংগঠন যা জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবা (LET)-এর সাথে যুক্ত।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, তাঁকে খুন করার জন্য আততায়ীরা অনেক আগে থেকেই আল-কুদুস মসজিদ চত্বরে অপেক্ষা করছিল। রিয়াজ নমাজ পড়ার জন্য মসজিদ চত্বরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই তারা খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করতে থাকে। এলাকার একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা শাহরিয়ার সিকান্দার বলেছেন, মসজিদ সূত্রে জানা গেছে, আততায়ীরা মোটরসাইকেলে চড়ে এসেছিল এবং তারা হেলমেট পরা অবস্থায় অপেক্ষা করছিল। রিয়াজকে দেখতে পাওয়ার সাথে সাথে তারা তাঁকে মোট চারবার গুলি করে।
আরও পড়ুন-
নারীরা সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে ঘুরে বেরাতে পারবেন সমুদ্রের পাড়ে, ফিনল্যান্ডের এই দ্বীপে পুরুষ-প্রবেশ নিষিদ্ধ
ধাপে ধাপে বদলাবে পড়াশোনার পদ্ধতি, পশ্চিমবঙ্গে কার্যকর হচ্ছে নতুন শিক্ষানীতি
G20 Summit: 'ইন্ডিয়া' নয়, 'ভারত'! জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদীর টেবিলে লেখা দেশের নতুন নাম