অপারেশন সিন্দুরে জৈশ সর্দার মসুদ আজহারের ১৪ জন পরিজন নিহত হয়েছে। আজহার নিজে পাশের বিল্ডিংয়ে লুকিয়ে ছিল। পাকিস্তান সরকার ১৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে পারে। জেনে নিন পুরো ঘটনা।

অপারেশন সিন্দুরে জঙ্গিদের ক্ষতিপূরণ: পহেলগাম জঙ্গি হামলার পর ৭ মে ভারতীয় সেনাবাহিনী অপারেশন সিন্দুর চালু করে পাকিস্তান এবং পিওকে-তে জঙ্গিদের ৯টি বড় ঘাঁটি ধ্বংস করে। এই অপারেশনে প্রায় ১০০ জন জঙ্গি নিহত হয়। এই বিমান হামলায় জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত জঙ্গি এবং জৈশ-ই-মোহাম্মদের সর্দার মাসুদ আজহার প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু তার ভাই মারা যান। শুধু তাই নয়, আজহারের পরিবার এবং আত্মীয়দের মধ্যে প্রায় ১৪ জন মারা যান। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান সরকার জঙ্গিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে যাচ্ছে।

১৪ জনের মৃত্যু, পাকিস্তান দেবে ১৪ কোটি ক্ষতিপূরণ

খবর হল, এই বিমান হামলায় আজহারের ১৪ জন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মারা গেছেন। পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ প্রতিটি মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। অর্থাৎ মোট ১৪ কোটি টাকা জৈশ সর্দারের পরিবারকে দেওয়া হতে পারে।

বাহাওয়ালপুরে জৈশের ঘাঁটি ধ্বংস, ১০০-র বেশি জঙ্গি নিহত

অপারেশন সিন্দুরের অধীনে ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত ৯টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড ২৩ মিনিটের মধ্যে ধ্বংস করে দেয়। এতে ১০০-র বেশি জঙ্গি নিহত হয়। এই অভিযানের সবচেয়ে বড় কারণ ছিল ২২ এপ্রিল পহেলগামে হওয়া জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু।

নিহত শীর্ষ জঙ্গি কমান্ডার, জৈশ এবং লস্করের বড় ধাক্কা

ভারতের এই অভিযানে জৈশ এবং লস্করের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডার নিহত হন।

  • মুদাসসার খাদিয়ান খাস – লস্করের সদর দফতর প্রধান
  • হাফিজ মুহাম্মদ জামিল – হাফিজ সাঈদের আত্মীয় এবং জঙ্গি নেটওয়ার্কের প্রধান যোগসূত্র
  • মোহাম্মদ ইউসুফ আজহার – মাসুদ আজহারের চাচাতো ভাই
  • খালিদ – জম্মু ও কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলায় জড়িত
  • মোহাম্মদ হাসান খান – জৈশের শীর্ষ কমান্ডার

পাকিস্তানের পাল্টা পদক্ষেপ – ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দেয়

ভারতীয় হামলায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তান ১৫টিরও বেশি শহরে ভারতীয় সামরিক এবং বেসামরিক স্থাপনায় ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে, কিন্তু ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশিরভাগ হামলা রুখে দেয়। ভারত পাল্টা পদক্ষেপে লাহোর, রাওয়ালপিন্ডির মতো পাকিস্তানি শহরে বিমানঘাঁটি এবং জঙ্গি অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে।

১০ মে যুদ্ধবিরতি চুক্তি

ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ১০ মে ভারত এবং পাকিস্তানের ডিজিএমও-র মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা হয় এবং যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।