সংক্ষিপ্ত

আলাদা দেশ হিসেবে ভারতের একদিন আগে স্বাধীনতা পায় পাকিস্তান। তারপর থেকে ভারত উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে চললেও, আর্থিক কাঠামো ধরে রাখতে পেরেছে। পাকিস্তান কিন্তু দরিদ্র দেশ হিসেবেই রয়ে গিয়েছে।

চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে পাকিস্তানের আর্থিক উন্নতি মাত্র ১ শতাংশে নেমে এসেছে। বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, নতুন কোনও শিল্পস্থাপন হচ্ছে না। বিভিন্ন পরিষেবার ক্ষেত্রেও হাল খুব খারাপ। এর ফলেই পাকিস্তানের আর্থিক উন্নতির গতি শ্লথ হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানে বেহাল আর্থিক অবস্থা সামাল দিতে বিভিন্ন সরকারি দফতরে নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বেকারত্ব বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে আর্থিক উন্নতির হার কমে যাওয়া শেহবাজ শরিফ সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে। পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থার হাল ধরা সহজ নয়। নবগঠিত সরকারের পক্ষে এই কাজ সম্ভব না-ও হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

গভীর সমস্যায় পাকিস্তান

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তানের আর্থিক উন্নতির হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টস কমিটির রিপোর্টেই জানানো হয়েছে, এই ত্রৈমাসিকে আর্থিক উন্নতি মাত্র ১ শতাংশ। পাকিস্তান সরকারের অধীনস্থ এই সংস্থা জানিয়েছে, শিল্পায়ন তো হচ্ছেই না, উল্টে শিল্প ০.৮৪ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়ে গিয়েছে। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা বা শিল্পক্ষেত্রের হাল যে অবস্থায় ছিল, ঠিক এক বছর পর সেই হাল আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে।

পাকিস্তানের পরিষেবা ক্ষেত্রের হালও খারাপ

ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টস কমিটির রিপোর্ট বলছে, পরিষেবা ক্ষেত্রে উন্নতি মাত্র ০.০১ শতাংশ। পাকিস্তানে প্রতি বছর ২.৬ শতাংশ করে জনসংখ্যা বাড়ছে। অথচ আর্থিক বৃদ্ধির হার তার চেয়ে কম। ফলে পাকিস্তানে গরিব মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বেকারত্ব, অপুষ্টির হারও বাড়ছে। ফলে সবদিক থেকেই বেকায়দায় পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হচ্ছে না। পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়ছে। ফলে পাকিস্তানের মানুষের সমস্যা বাড়ছে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

'পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের স্তরে নিয়ে গেছে', সিঙ্গাপুর থেকে হুঁশিয়ারি ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের

গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্সে চার নম্বরে পাকিস্তান, ভারতের র‌্যাঙ্কিং কী?

ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের মধ্যে আদান প্রদান করল এই গুরুত্বপূর্ণ তালিকা, ঐতিহ্যটি ৩২ বছরের পুরনো