সংক্ষিপ্ত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে টানের মুহূর্তেই ফের বড় ধাক্কা আর্থিক সংকটে জর্জরিত থাকা পাকিস্তানের।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে টানের মুহূর্তেই ফের বড় ধাক্কা আর্থিক সংকটে জর্জরিত থাকা পাকিস্তানের। IMF বা পাকিস্তানি মুদ্রা তহবিল পাকিস্তান সরকারের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রত্যাখ্যান করে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস মাত্র ২ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। উল্লেখ্য গত শনিবারের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকার একটি প্রটীবেদনে জানানো হয়েছে IMF চলতি অর্থবর্ষের জন্য পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে ২৫ বিলিয়ন ডলার করেছে। তবে এখানেই শেষ নয় সূত্রের খবর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রতিনিধিদল গত ১৫ নভেম্বর পাকিস্তানি আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের দুই সপ্তাহব্যাপী আলোচনা শেষ করেছে। এই আলোচনার পরই ঘোষিত হয় স্টাফ-লেভেল চুক্তি। এও চুক্তির অধীনে পূর্বে সম্মত ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় ধাপ হিসেবে ৭০ কোটি ডলার জারি করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।

পাকিস্তানের ঋণ

উক্ত প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে IMF চলতি অর্থবর্ষের জন্য পাকিস্তানের বাহ্যিক ঋণের প্রয়োজনীয়তা ২৮.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার করেছে। গত জুলাই মাসেও এই ঋণের পরিমাণ ছিল ২৮.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত চার মাসে পাক সরকারের ঋণের পরিমান ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু কেন এমন ভগ্নপ্রায় দশা পাক অর্থনীতির, উত্তরে পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী শামশাদ আখতার জানিয়েছেন, বহু সংস্কার সত্ত্বেও পাকিস্তানের অর্থনীতিতে কোনও উন্নয়ন নেই। বড় ধরণের আর্থিক সংস্কার প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পাক অর্থনীতিতে সংস্কার

পাকিস্তানের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য কোনও বড় ধরণের আর্থিক সংস্কার প্রয়োজন বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ২০২৩ সালে ২.৫ শতাংশ হতে পারে বলে অনুমান করছে IMF। এর জন্য একটা বড় কারণ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে নগদ সঙ্কট। উল্লেখ্য IMF-এর এই অনুমান বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলির অনুমানের বিপরীত।

IMF-এর সর্বশেষ বৃদ্ধি চলতি বছরে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় ৩.৫ শতাংশ কম ছিল। যদিও বিশ্বব্যাঙ্কের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পাকিস্তানের বৃদ্ধির হার চলতি অর্থবর্ষে ১.৭ শতাংশ এবং আগামী বছরে ২.৪ শতাংশ হবে।