সংক্ষিপ্ত

একটি বিবৃতি দিয়ে পাকিস্তান তেহরিক - ই- ইনসাফ পার্টি বলেছে, পিএমএল -এন এর সর্বোচন্ন নেতা নওয়াজ শরিফকেও পরাজয় স্বীকার করতে হবে।

 

ইমরান খান না, নওয়াজ শরিফ কার দখলে থাকবে পাকিস্তান? পাকিস্তানের ভোট গ্রহণ শেষের পর থেকে এই আলোচনা দেশজুড়ে। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বর্তমানে কারাগারে বন্দি। যদিও তাঁর দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দাবি ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক- ই- ইনসাফ বা পিটিআই নির্বাচনে জয়ী হবে। জেলবন্দি ইমরান খান পাকিস্তানের ব্যালটে না থাকলেও তিনি দেশের মানুষের মনে রয়েছেন। আর সেই কারণেই তাঁর দলই জয়লাভ করবে। কিন্তু তাঁদের শঙ্কা রয়েছে। অনেকেই বলেছে সরকার পক্ষ ভোট গণনায় কারচুপি করার জন্যই ভোট গণনায় দেরি করছে।

একটি বিবৃতি দিয়ে পাকিস্তান তেহরিক - ই- ইনসাফ পার্টি বলেছে, পিএমএস -এন এর সর্বোচন্ন নেতা নওয়াজ শরিফকেও পরাজয় স্বীকার করতে হবে। যদিও তাঁর পিছনে শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সমর্থন রয়েছে। পাশাপাশি পিটিআই-এর দাবি ২৬৫টি আসনের মধ্যে তাদের দল ১৫০টিরও বেশি আসন পাবে। পাকিস্তানে সরকার গঠনের জন্য একটি দলকে ১৩৩টি আসন পেতে হবে। যদিও পিএমএল -এন পিটিআই-এর তোলা কারচুপির দাবি মানতে নারাজ। তাদের দাবি বৃহস্পতিবার নির্বাচনে তারাই জয়ী হবে। ইমরানের দল হারিয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার সাধারণ নির্বাচনের পরেও পাকিস্তানে বিশৃঙ্খলা অব্যাহত। মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে কারচুপিরও একাধিক অভিযোগ উঠেছে। পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ময়দানে ১২টিরও বেশি দল ছিল। কিন্তু প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ইমরান খানের পিটিআই ও শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ ও বিলাওয়াল জাারদারি ভুট্টোর পাকিস্তান পিপিলস পার্টি। যদিও নির্বাচনের পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও এখনও গণনার ফলাফল প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন।