পেহেলগাও হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারত অপারেশন সিন্দুর চালিয়ে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। এই অভিযান পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতা প্রকাশ করেছে এবং পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। 

পেহেলগাও হামলার পর অপারেশন সিন্দুর এর মাধ্যমে ভারত যোগ্য জবাব দিয়েছে পাকিস্তানকে। মধ্যরাতে আচমকা হামলার ফলে পাকিস্তানে আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই অপারেশন প্রমাণ করে দিয়েছে যে পাকিস্তান জঙ্গিদের আঁতুঘর। এক কথায় বলতে গেলে পাকিস্তান নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য জঙ্গি পুষে রাখে। তবে অপারেশন সিন্দুর এর আগেই দেশ জুড়ে বেশ কিছু জায়গায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল মগ ড্রিল চলবে। এর মধ্যে বেশ কিছু এলাকায় এই ঘোষণার মধ্যেই হঠাৎ করে মধ্যরাতে প্রতিশোধ নেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। ঠিক যেভাবে পাকিস্তানের মদতে জঙ্গিরা দেশে প্রবেশ করে ভারতীয় মহিলাদের সিঁথির সিদুর কেড়ে নিয়েছিল। ঠিক সেভাবেই অপারেশন সিন্দুরের ফলে পাকিস্থানের জঙ্গি ঘাঁটির ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে মোদী সরকার।

যে দেশের বেশিরভাগ নাগরিক দুবেলা খেতে পারে না, আয় নেই, চলছে মুদ্রাস্ফীতি, যে দেশ চলছেই ঋণের উপর, সে দেশ কি যুদ্ধের খরচ বহন করতে পারবে? চলতি অর্থবছরে অর্থাৎ ২০২৪ থেকে ২৫ পাকিস্তান প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ করেছে ২. ১২ লক্ষ কোটি টাকা যেখানে ভারত প্রতিরক্ষা খাতে ৬.৮ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ফলে এখানেই আন্দাজ করা যাচ্ছে যুদ্ধ শুরু হলে কতটা দৌড়তে পারবে পাকিস্তান। যে দেশের মোটা অঙ্ক বেড়িয়ে যায় ঋণ পরিশোধ করতে। ৯.৭০ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় হবে চলতি আর্থিক বছরে ঋণ পরিশোধ করতে। ঘরে নেই খাবার পাকিস্তান চলল মিসাইল উড়াতে।

অপারেশন সিন্দুরের পর পাকিস্তানের জনগন তাদের সরকার তথা তাদের সেনাবাহিনীর প্রতি ক্ষুব্ধ। ইতিমধ্যেই এমন বহু ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হচ্ছে। এমনই এক ভিডিওতে এক যুবককে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর তীব্র সমালোচনা করতে দেখা যাচ্ছে। তার কণ্ঠে রাগ আর প্রশ্ন। "আক্রমণের সময় আমাদের সেনাবাহিনী এবং সংস্থাগুলি কোথায় ছিল?" সবাই কি ঘুমাচ্ছে? চারটি ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরিত হয়েছে, কেউ জানত না! সে বলে। এই বিমান হামলার পর পাকিস্তানি জনগণের মধ্যে তাদের সেনাবাহিনীর প্রতি ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ভিডিওতে যুবকটি বলছে, 'ভারত বাহাওয়ালপুরে মাওলানা মাসুদ আজহারের মাদ্রাসায় চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।' আমাদের সংস্থাগুলো কী করছে? আমরা কি জানি না ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোথা থেকে এসেছে? সে বলে। তার মতে, এটি কেবল একটি আক্রমণ নয়, বরং পাকিস্তানের জন্য একটি 'জাতীয় লজ্জা'।