সংক্ষিপ্ত
পাকিস্তানের সংসদে উদ্বোধনী ভাষণে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলির নেতা মাওলানা ফজলুর রহমান ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের তুলনা টানেন
ভারতের উন্নতি আর পাকিস্তানের অবনতি নিয়ে হাহুতাশ পাকিস্তানের নেতার গলায় হতাশার সুর। পাকিস্তানের নেতৃত্বস্থানীয় ডানপন্থী ইসলামী নেতা মাওলানা ফজলুর রহমান সোমবার তাঁর আগের প্রতিদ্বন্দ্বী তাহরিক-ই-ইনসাফের সমর্থনে সুর চড়িয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন বিরোধীদের সমাবেশ করার ও সরকার গঠন করার অধিকার রয়েছে। জমিয়ত উলেমা-ই - ইসলাম ফজল বা JUI-F-এর উপদলের প্রধান রেহমান, রাজনৈতিক ব্যবস্থায় কারচুপির অভিযোগে শক্তিশালী সংস্থার নিন্দা করে জাতীয় পরিষদে বক্তব্য রেখেছিলেন। সেখানেই বর্তমানে ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থান তুলনা করেন তিনি।
পাকিস্তানের সংসদে উদ্বোধনী ভাষণে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলির নেতা মাওলানা ফজলুর রহমান ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের তুলনা টানেন। তিনি বলেন, 'প্রতিবেশী দেশটি যখন বিশ্ব শক্তিতে পরিণত হওয়ার চেষ্টা করছে, তখন পাকিস্তান দেউলিয়া হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।' তবে এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ১৯৪৭ সালের অগাস্ট মাসে ভারত ও পাকিস্তান একই সঙ্গে স্বাধীনতা লাভ করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, 'আজ ভারত বিশ্ব সুপার পাওয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। আর আমরা দেউনিয়া হয়ওয়া এড়াতে ভিক্ষা করছে। এরজন্য দায়ী কে?'
পাকিস্তানের নেতৃত্বস্থানীয় ডানপন্থী ইসলামী নেতা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাধারণ সাধারণ নির্বাচনের সময়ও সমালোচমা করেছে। জোর দিয়ে বলেছেন, নির্বাচন ও দেশের পরিচালনায় প্রতিষ্ঠা ও আমলাতন্ত্রের কোনও ভূমিকা নেই। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন করেন, 'এটা কেমন নির্বাচন যখনে পরাজিতরা সন্তুষ্ট নয়। আর বিজয়ীরা বিরক্ত?' এরই সঙ্গে বর্তমান সাংসদদের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি স্থানীয় মিডিয়া বলেছে, মাওলানা দেশের গণতন্ত্র বিক্রি করারও অভিযোগ করেছেনম। ফজলুর রহমান বলেন, দেওয়ালের আড়ালে কিছু শক্তি রয়েছে যা পাকিস্তানেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। সেই শক্তিগুলি সিদ্ধান্ত নয়, আর পাকিস্তানের নাগরিকতা তাদের হাতের পুতুল। তিনি আরও বলেন, প্রাসাদে সরকার গঠিত হয়। আমলারা সিদ্ধান্ত নেয় কে প্রধানমন্ত্রী হবে- এই ব্যবস্থার সঙ্গে পাকিস্তানের নাগরিকরা কতদিন আপোষ করে যাবেন তাও জানতে চান তিনি।
রেহমান বলেছিলেন, সমাবেশ করা পিটিআই-এর অধিকার। 'আমরা ২০১৮ সালের নির্বাচনেও আপত্তি জানিয়েছিলাম। আমরা ৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনেও আপত্তি করি। যদি ২০১৮এর সালের নির্বাচনে কারচুপি করা হয় তবে বর্তমান নির্বাচনে কারচুপি করা হয়নি তা কে বলতে পারে?' ইমরান খানের দল পিটিআই -এর নেতা আসাদ কায়সার নিজের দলের হয়ে সমাবেশ করার অধিকার দাবি করেছিলেন। রেহমান সেই ইস্যুতেই বক্তব্য রাখছিলেন। সেখানেই তিনি বলেন, আসাদ কায়সারের দাবি সঠিক। ও পিটিআই-এর সমাবেশ করার অধিকারও রয়েছে।