সংক্ষিপ্ত
প্রায় ২০ শতকের গোড়ার দিকে তৈরি হয়েছিল হনুমান মন্দির। স্থানীদের কাথে বংশী মন্দির নামে পরিচিত। স্থানীয় একটি হিন্দু পরিবার মন্দির তৈরি করেছিল।
পাকিস্তানের হিন্দুদের ওপর নির্যাতন ও অবমাননার আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এল। এবার ঘটনাস্থল লাহর। শহরের ঐতিহাসিক আনারকলি পাড়ায় প্রাচীন একটি হনুমান মন্দির বর্তমানে প্রায় শৌচাগারে রূপান্তরিত হয়েছে। পবিত্রস্থানকে অপবিত্র করার সবরকম চেষ্টা শুরু করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাতে মদত রয়েছে পাকসরকারের। তেমনই অভিযোগ পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দুদের। হমুমান মন্দিরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
প্রায় ২০ শতকের গোড়ার দিকে তৈরি হয়েছিল হনুমান মন্দির। স্থানীদের কাথে বংশী মন্দির নামে পরিচিত। স্থানীয় একটি হিন্দু পরিবার মন্দির তৈরি করেছিল। তারপরই দেশভাগ। এলাকার অনেক হিন্দু পরিবার নেয়ে ভারতে চলে আসে। তারপরই থেকেই এই মন্দিরটি প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই স্থানেই তৈরি হয়েছে গণশৌচাগার। গোটা মন্দিরে দুই থেকে ৬টি শৌচাগার রয়েছে। মন্দিরের দুই তলাতেও শৌচাগার রয়েছে। যা হিন্দুশাস্ত্রে বৈধ নয়।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত ফুটেজে মন্দিরের একসময়ের পবিত্র হলের মধ্যে অবস্থিত ছয়টি টয়লেটের ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখানো হয়েছে, যা এর পবিত্রতা এবং ঐতিহাসিক তাত্পর্যকে কলঙ্কিত করছে বলেও দাবি করা হয়েছে ভিডিওতে। বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের জন্য, বাসুলি হনুমান মন্দিরের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপবিত্রতা ক্ষোভ ও ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। এই প্রাচীন উপাসনালয়, হিন্দুদের কাছে পবিত্র বলেও দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি পাকিস্থানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের কি জাতীয় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পড়তে হয় তাও বলা হয়েছে। দেখুন সেই ভিডিওঃ
তবে এই ভিডিও কাঁটাতারে বেড় অতিক্রম করে ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে। হিন্দুদের কাছে ভিডিওটি যথেষ্ট বেদনাদায়ক। অনেকেই গোটা ঘটনার নিন্দা করেছে। পাশাপাশি পাকিস্তানের মানবাধিকার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। অনেকে আবার বলেছে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রে এভাবেই সংখ্যালঘুদের অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হয়।