সংক্ষিপ্ত
আইএসআই প্রধান মেজর জেনারেল ফয়সালের ওপর হামলার পেছনে ইমরানকে দায়ী করেছে বিক্ষোভকারীরা। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের বা পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে।
পাকিস্তানের ৭৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার কয়েক ঘন্টা পরেই বিক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। সূত্রের খবর খাইবার পাখতুনখোয়ার পেশোয়ারে কর্পস কমান্ডার হাউসের সামনে লোকেরা বিক্ষোভ শুরু করে। আইএসআই প্রধান মেজর জেনারেল ফয়সালের ওপর হামলার পেছনে ইমরানকে দায়ী করেছে বিক্ষোভকারীরা। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের বা পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে।
পিটিআই টুইট করেছে, "যখন অরাজনৈতিক লোকেরা একটি রাজনৈতিক সংবাদ সম্মেলন করে এবং জনসাধারণ দেখে যে ইমরান খানকে যারা হুমকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তখন অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি হয়।" পেশোয়ারের কর্পস কমান্ডার হাউসের সামনে জনগণের বিক্ষোভ সত্যিই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বলে দাবি করেছে পিটিআই।
ইমরান খানের ওপর হামলার নেপথ্যে কারা!
তার নিজের দলের নেতা আসাদ উমর, যিনি ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ বলে বিবেচিত, বলেছেন যে পিটিআই প্রধান এই হামলার পিছনে তিনজনের নাম উল্লেখ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও।
আসাদ ইমরানকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, 'তিনি বিশ্বাস করেন যে হামলায় জড়িত তিন ব্যক্তি হলেন শাহবাজ শরিফ, রানা সানাউল্লাহ এবং মেজর জেনারেল ফয়সাল। ইমরান নাকি বিষয়টি আগে থেকেই জানতে পেরেছিলেন যার ভিত্তিতে তিনি এই তত্ব তুলে এনেছেন।'
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে পিটিআই প্রধান সেনাপ্রধান নিয়োগের বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং গণতন্ত্রের সনদ এবং অর্থনীতির সনদ নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান পরামর্শ দিয়েছিলেন যে আমরা সেনাপ্রধান পদের জন্য তিনটি নাম দেব এবং শাহবাজ তিনটি নাম দেবেন। এরপর কে হবেন নতুন সেনাপ্রধান তা নিয়ে আলোচনায় থাকবে এই ৬ জনের নাম।
বিক্ষোভ মিছিলে ইমরান গুলিবিদ্ধ হন
জানা যায়, পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে একটি বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন, একজন বন্দুকধারী ইমরান খানের মিছিলে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। চার ডান পায়ে তিন থেকে চারটি গুলি লাগে। এই হামলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আগাম নির্বাচনের দাবিতে ইসলামাবাদে লংমার্চের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রী। গত মাসে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইমরান খানকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অযোগ্য ঘোষণা করে। তার বিরুদ্ধে সরকারি সংস্থাগুলিকে বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অনুদানের সঠিক বিবরণ না দেওয়ার ও তাদের বিক্রির আয়ের তথ্য গোপন করার অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন -শেহবাজ শরীফ সহ আরও দুজন অনেকদিন আগে থেকেই আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে -দাবি ইমরানের
আরও পড়ুন- লুলা বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ব্রাজিল, সেনাবাহিনীর কাছে 'আবদার' ক্ষমতায় থাকুক বলসোনারো