সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তান সরকার ও পাকিস্তান সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল তালিবানরা। আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ-সহ পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে হামলার হুঁশিয়ারি দেয় তেহরিক-ই-তালিবান।

 

করোনা পরিস্থিতির পর থেকেই বদলে গিয়েছে গোটা বিশ্বের সার্বিক চিত্রটি । রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শুরু করে তালিবানদের আফগানিস্তান দখল একের পর এক ঘটনার ঘনঘটা যেন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সমীকরণগুলো বদলে দিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। এবার পাকিস্তান সরকার ও পাকিস্তান সেনার বিরুদ্ধে তালিবানদের যুদ্ধ ঘোষণা এনে দিলো আন্তর্জাতিক রাজনীতির নয়া মোড়। সোমবার আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ-সহ পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে হামলার হুঁশিয়ারি দেয় তেহরিক-ই-তালিবান।

ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবারই পাক সেনাপ্রধান পদে জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার শেষ দিন। বুধবার সেনাপ্রধান হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মুনির দায়িত্ব নেবেন। তার আগে পাক তালিবানের এই ঘোষণা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক এবং সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। গত বছরের অগস্টে আফগানিস্তানে তালিবানের ক্ষমতা দখলের পরে টিটিপির সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করেছিল তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার। কিন্তু গত ডিসেম্বরে সেই আলোচনা ভেস্তে যায়।

এর পর এপ্রিলে ইসলামাবাদে ক্ষমতার পালাবদল হয়। ইমরানকে সরিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ। জুনে ফের আলোচনা শুরুর পরে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় দু’পক্ষ। কিন্তু অগস্টে দ্বিতীয় দফার বৈঠকও নিষ্ফল হয়। টিটিপির অভিযোগ, সংঘর্ষবিরতি ভেঙে পাক সেনা একতরফা ভাবে অভিযান শুরু করার ফলেই নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। পাক সংবাদ সূত্রে খবর সেপ্টেম্বরের গোড়ায় জেনারেল বাজওয়া ২৫০ নম্বর কোরের কমান্ডার এবং অন্য অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে খাইবার-পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তানে নতুন করে সন্ত্রাস দমন অভিযান শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পরেই শুরু হয় ‘অপারেশন’। এই পরিস্থিতি থেকেই সূত্রপাত হয় যুদ্ধের তবে এই পাক তালিবানের ‘যুদ্ধ যে আফগানিস্তান দেশটার মধ্যে আরও নাশকটর সৃষ্টি করবে তা দাবি করছে বিশেষজ্ঞমহলের একাংশ।