সংক্ষিপ্ত

আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় পাকিস্তানে উদ্বেগ বেড়েছে। ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তান আমেরিকার চাপ অস্বীকার করেছে। ট্রাম্প প্রশাসন কি পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করবে?

আমেরিকার নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের দিন যতই এগিয়ে আসছে, পাকিস্তান সরকারের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে আমেরিকার সাথে তাদের সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে অনিশ্চিত। গত মাসে ট্রাম্পের বিশেষ মিশনের জন্য দূত নির্বাচিত রিচার্ড গ্রেনেল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তি নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন। এ ব্যাপারে এখন পাকিস্তানের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া এসেছে। এতে সরকারের অস্থিরতা স্পষ্ট। গ্রেনেল এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাবন্দী ইমরান খানের মুক্তির দাবি জানিয়েছিলেন।

রাণা সানাউল্লাহ বললেন- আমেরিকার চাপ মেনে নেব না

গ্রেনেল ২৬ নভেম্বর এক্স-এ লিখেছিলেন “ইমরান খানকে মুক্তি দাও”। পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলে এর ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল। এখন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের উপদেষ্টা রাণা সানাউল্লাহ বলেছেন, আমাদের সরকার নতুন আমেরিকান প্রশাসনের কোনও চাপ মেনে নেবে না, তা সে পিটিআই (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ)-এর সাথে আলোচনা হোক বা ইমরান খানের মুক্তি নিয়েই হোক।

সানাউল্লাহ বলেছেন, আমেরিকা যদি কোনও হস্তক্ষেপ করে তবে তা আমাদের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ বলে বিবেচিত হবে। তিনি বলেছেন, "আমরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপে কাজ করব না।" আসলে, সানাউল্লাহ আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য চাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন।

২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ইমরান খানের পিটিআই-এর নেতাদের দাবি, আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য সমর্থনের আশায় শরিফ সরকার এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

মিডিল ইস্ট আই-এর এক প্রতিবেদনে পিটিআই কোর কমিটির এক সদস্যের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, দলীয় সমর্থকদের অব্যাহত বিক্ষোভ এবং আসন্ন আমেরিকান প্রশাসনের বাইরের চাপের আশঙ্কায় সরকার আমাদের সাথে আলোচনা শুরু করতে বাধ্য হয়েছে।