সংক্ষিপ্ত
- আগে রটেছিল বাদুড়ের মাংস থেকেই ছড়িয়েছিল করোনাভাইরাস
- তারপর মনে করা হল, বাদুড়ের সঙ্গে যৌনসঙ্গম থেকে ছড়ি়য়েছে এই ভাইরাস
- এখন মনে করা হচ্ছে প্য়াঙ্গোলিন থেকেই ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস
- চোরাপথে চিনে পাচার হয় এই প্য়াঙোলিন, এর মাংস খুব লোভনীয় পদ সেখানে
গুজবের গরু গাছে উঠে গিয়ে রটেছিল, চিনের প্রথম করোনারোগী নাকি বাদুড়ের সঙ্গে যৌনসঙ্গম করেছিলেন। আর সেই কারণেই তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। যার জেরে আজ বিশ্বের প্রায় ১৯০টা দেশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ইতালি, স্পেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেনে তা অতিমারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতের মতো বহু দেশে চলছে লকডাউন। বিপর্যস্ত সাধারণ জনজীবন।
যদিও পরে অবশ্য় খোঁজখবর করে জানা যায়, বাদুড়ের সঙ্গে যৌনসঙ্গম থেকে করোনা ছড়িয়েছে বলে যে খবর রটেছে, তার কোনও ভিত্তিই নেই। এরপর করোনার আর একটি সম্ভাব্য় উৎসের কথা বলা হচ্ছে। যে খবরকে এখনই ভুয়ো বা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
কী সেই খবর?
মনে করা হচ্ছে, চোরাপথে পাচার হওয়া প্য়াঙ্গোলিন থেকেই নাকি ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। উহানের যে সি-ফুড বাজার থেকে করোনা ছড়়িয়ে পড়েছে বলে অনুমান, সেখানেই নাকি পাচার হয়ে আসে এই প্য়াঙ্গোলিন। তবে, শুধু খাওয়ার জন্য়ই নয়, ওষুধ তৈরির কাজেও নাকি লাগে একে।
প্য়াঙ্গোলিনের মাংস চিনাদের খাবে অত্য়ন্ত লোভনীয় এক পদ। চিনাদের মধ্য়ে প্য়াঙ্গোলিনের মাংস খাওয়ার রেওয়াজ নাকি অনেকদিনের। যদিও সোজাপথে না-পাওয়া যাওয়ায়, চোরাপথেই পাচার হয় প্য়াঙ্গোলিন। গবেষকরা কেউ কেউ মনে করছেন, নোভেল করোনা ভাইরাসের সঙ্গে মিল রয়েছে এমন দ-ধরনের করোনাভাইরাসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে প্য়াঙ্গোলিনের শরীরে। যদিও খুব নিশ্চিত হয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না যে, প্য়াঙ্গোলিন থেকেই ছড়িয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। তবে অনুমান সেরকমই। কারণ, করোনাভাইরাসের উৎস যে কোনও বন্য়প্রাণী বা জীবজন্তু তা নিয়ে এখন কার্যত আর কোনও সংশয় নেই। প্রথমে মনে করা হয়েছিল সি-ফুড মার্কেট থেকে কেনা বাদুড়ের মাংস থেকেই ছড়িয়েছে এই করোনা। এখন মনে করা হচ্ছে প্য়াঙ্গোলিন। যদিও, ১৯০টিরও বেশি দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর চিন অবশ্য় এই ধরনের বন্য়জন্তুর মাংস বিক্রির ওপর রাশ টেনেছে। এমনকি কিছু রেস্তোরাঁয় হানা দিয়ে নিয়ম ভাঙার জন্য় বেশ কয়েকজনকে পাকড়াও করেছে।