সংক্ষিপ্ত

  • বছরের শেষে ফের এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা
  • টেক অফের সময়ই কাজাখস্তানের এক বিমানবন্দরে ভেঙে পড়ে
  • কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে
  • তারমধ্যে ছয়জনই শিশু

 

বছরের শেষে ফের এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা ঘটল। এদিন ৯৫ জন যাত্রী ও ৫ জন ক্রু সদস্য নিয়ে একটি যাত্রীবাহী বিমানটি অল্টিটিউড হারিয়ে কাজাখস্তানের আলমাতি বিমানবন্দরে ভেঙে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এই ১৫ জনের মধ্যে ছয়জনই শিশু। এছাড়া আরও প্রায় ডজনখানেক মানুষ এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

আলমাতি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেক এয়ার বিমানটি টেক অফ করার সময়ই আচমকা প্রয়োজনীয় উচ্চতা হারিয়ে প্রথমে একটি কংক্রিটের দেওয়ালে আঘাত করে এবং শেষ পর্যন্ত একটি দ্বিতল ভবনে ধাক্কা মারে। কাজাখস্তানের সিভিল এভিয়েশন কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমানটি রাজধানী নূর-সুলতান'এর দিকে যাচ্ছিল। তবে বিমানটিতে আগুন লাগেনি, নাহলে মৃতের সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি হত বলে মনে করা হচ্ছে। কাজাখস্তানের ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইনফাস্ট্রাকচার ডেবেলপমেন্ট মন্ত্রকের দাবি দুর্ঘটনা ঘটার প্রায় সঙ্গে-সঙ্গেই উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। তাতেই অনেকের প্রাণ বেঁচেছে।

আলমাতি বিমানবন্দর জানিয়েছে, উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। জরুরি পরিষেবার বিভিন্ন দল দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তারা দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি থেকে একে একে সকলকে বের করে নিয়ে আসছে। আহতদের নিকটবর্তী বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। অনেকেই দুর্ঘটনাস্থলের বেশ কিছু ভিডিও ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।

বিমানটি ফোকার -১০০। এটি একটি মাঝারি আকারের জোড়া-টার্বোফ্যানওয়ালা জেট বিমান। কিন্তু বিমানটি কেন দুর্ঘটনার আওতায় পড়ল তা এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণের জন্য একটি বিশেষ কমিশন গঠন করা হবে।
 
ভিআইপি ফ্লাইট অপারেশন-এর লক্ষ্যেই ২০ বছর আগে বেক এয়ার উড়ান সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে, সংস্থাটি এখন নীতি বদলে কাজাখস্তানের প্রথম স্বল্প দামের বিমান সংস্থা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তাদের হাতে এখন মোট সাতটি ফোকর -১০০ বিমান রয়েছে।