সংক্ষিপ্ত

লজ্জায় প্রথমে কাউকে কিছু বলতে পারেননি ৩৮ বছরের যুবক। এখন চিরকালের জন্য হারাতে বসেছেন যৌনতার ক্ষমতা।

এক অদ্ভূত ঘটনা ঘটল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে। ৩৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গে আটকে গিয়েছিল একটি তালা। দু'সপ্তাহ ধরে নিঃশব্দে ব্যথা সহ্য করার পর, অবশেষে তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা তাঁর পুরুষাঙ্গের তালা খুলে মুক্তি দিয়েছেন ঠিকই, তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। ফলে ওই ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ চিরকালের জন্য ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৩৮ বছর বয়স হয়ে গেলেও ওই যুবক এখনও অবিবাহিত। মায়ের সঙ্গেই থাকে। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন তালাবন্ধ পুরষাঙ্গ নিয়ে ব্যথায় কষ্ট পাওয়ার পর, প্রথম তিনি তাঁর অবস্থার কথা জানিয়েছিলেন মা-কেই। কিন্তু, কী করে তাঁর পুরুষাঙ্গে আটকে গেল তালাটি?

যুবকের মা জানিয়েছেন, একাকীত্ব গ্রাস করেছে তাঁর ছেলেকে। যৌন জীবনের হতাশা কাটাতে ওই যুবক ওই তালাটি ব্যবহার করতেন হস্তমৈথুন করার জন্য। প্রায় প্রতিদিনই চলত তাঁর এই তালার সঙ্গে সঙ্গম। কোনওদিন সমস্যা হয়নি, কিন্তু, এইবারে কোনও একটা ভুলে তাঁর যৌনাঙ্গে তালাটি বেকায়দায় আটকে গিয়েছিল। লজ্জায় কাউকে সে কিছু জানাতে পারেনি। এদিকে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে তালাবন্ধ অবস্থায় থাকতে থাকতে তাঁর পুরুষাঙ্গে সংক্রমণ হয়ে গিয়েছিল।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈদ্যুতিন কড়াত ব্যবহার করে ডাক্তারদের ওই তালা কেটে ফেলার পরই মুক্তি পেয়েছিল যুবকের পুরুষাঙ্গ। প্রায় আধা ঘন্টা ধরে চলে এই অস্ত্রোপচার। তবে সংক্রমণ এতটাই বেশি ছিল যে তাঁর পুরুষাঙ্গকে বাঁচাতে পারেননি ডাক্তাররা। এতটাই খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল অঙ্গটি, যে ডাক্তাররা জানিয়েছেন, সম্ভবত বাকি জীবন ওই ব্যক্তিকে এই বিকৃত এবং অকার্যকর পুরষাঙ্গ নিয়েই কাটাতে হবে।

তবে ডাক্তাররা চেষ্টা ছাড়েননি। এখনও সংক্রমণের জন্য ওই যুবকটির চিকিৎসা চলছে। অস্ত্রোপচারের পরে ব্যথানাশক ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরও তাঁর পুরুষাঙ্গে বেদনা রয়েছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন ধীরে ধীরে সেই ব্যথার উপশম হবে।