সংক্ষিপ্ত
- পোপের গালে চুমু খেতে চাইলেন এক মহিলা
- রাজি হয়ে গেলেন পোপ ফ্রান্সিস
- তবে শর্ত দিলেন চুম্বনের সময় কামড়ানো চলবে না
- আশেপাশের মানুষের মধ্যে জবাব শুনে ওঠে হাসির রোল
পোপ ফ্রান্সিসের গালে চুমু খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এক নান। আর তাতেই কৌতুকভরে জবাব দিলেন পোপ ফ্রান্সিস। বলেলন, গাল এগিয়ে দেব ঠিকই, কিন্তু কামড় বসালে চলবে না।"
আর পোপ ফ্রান্সিসের এই জবাব ঘিরেই পড়ে গিয়েছে শোরগোল। বর্ষ বরণের সন্ধ্যায় সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে শুভেচ্ছা জানাতে আসা মহিলার হাতে চাপড় মেরে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস। এবার তাই বিতর্ক এড়াতে আগেভাগেই সচেতন হয়ে যান ৮৩ বছরের পোপ।
বুধবার ভ্যাটিকানের অডিটোরিয়ামে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল পোপ ফ্রান্সিসের। পোপের কথা শুনতে বহু মানুষ ভিড় জমান অডিটোরিয়ামে। পোপ অডিটোরিয়ামে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যারিকেডের ওপার থেকে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানাতে থাকেন অনুগামীরা। পোপ ফ্রান্সিসও শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন তাঁদের। আর এর মাঝেই পোপের সামনে এসে দাঁড়ান এক নান। প্রথমে হাত মিলিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোপের গালে চুমু খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
চিৎকার করে এই নারী রোমান ভাষায় বলেন, "বাসিও পাপা!", আর তা শুনেই পোপ বলে ওঠেন "ওহ, কিন্তু আপনি কামড়ে দেবেন না তো!" আর তা শুনেই আশেপাশের মানুষের মধ্যে হাসির রোল পড়ে যায়। পরে পোপ তাঁর ডান গালে চুমু দেন।
এর ঠির বিপতীর চিত্রই দেখা গিয়েছিল বর্ষবরণের রাতে। ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটারস স্কয়ারে ভক্তদের সঙ্গে পোপের হাত মেলানোর সময়। এক শিশুর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভক্তদের থেকে উল্টোদিকে ঘোরার মুহুর্তে এর মহিলা পোপের হাত ধরে হেঁচকা টান দেন। হতভম্ব পোপ সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হাত সরিয়ে নেন। পরে অবশ্য এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চান তিনি। এই দিনের পর বুধবারই প্রথম ভ্যাটিকানে জনসাধারণের সঙ্গে সাক্ষাতে গিয়ে ভাল আচরণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন পোপ ফ্রান্সিস।