সংক্ষিপ্ত
একমাস আগেই ঘটেছিল প্রায় একই রকম ঘটনা
ফের ইনস্টাগ্রামে খাটো পোশাক পরা এক মডেলের ছবিতে লাইক দেওয়ার অভিযোগ পোপ ফ্রান্সিসের বিরুদ্ধে
এবারের ছবিটিতে প্রায় প্রকাশিত মডেলের বক্ষযুগল
ক্রিসমাসের মুখে এই ঘটনায় তীব্র অস্বস্তিতে ভ্যাটিকান
ক্রিসমাসের ঠিক আগেই ফের কেলেঙ্কারিতে জড়ালেন খ্রিস্টান সমাজের সর্বময় প্রধান পোপ ফ্রান্সিস। মাত্র একমাস আগেই তাঁর অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে, এক নগ্নপ্রায় ব্রিজিলিয় বিকিনি মডেলের ছবি লাইক করা হয়েছিল। যে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভ্যাটিকান। তারপর কয়েকটা দিন যেতে না যেতেই ফের এক প্রাপ্তবয়স্ক ছবির মডেলের যৌনতায় ভরা ছবিতে লাইক দিয়েছেন পোপ, এমন দাবি উঠল।
২৩ ডিসেম্বর, অর্থাৎ বড়দিনের ঠিক দুদিন আগে 'মার্গট' নামে এক প্রাপ্তবয়স্ক ছবি-ভিডিও-র মডেল টুইটারে একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে ওই দাবি ছবিটিতে মার্গটকে একটি আঁটোসাঁটো মনোকিনি পরে থাকতে দেখা গিয়েছে। এতটাই ফিনফিনে সেই পোশাক, যে তার উপর থেকেই ওই মডেলের স্তনবৃন্ত পর্যন্ত স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এইরকম কামোদ্দীপক ছবির নিচেই লাইক দিতে দেখা গিয়েছে পোপ ফ্রান্সিসের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে।
স্ক্রিনশটটি শেয়ার করে মার্গট লিখেছেন, 'আহ পোপ আমার ছবি পছন্দ করেছেন?' শুধু তাই নয়, টুইটারে নিজের সম্পর্কে বর্ণনার সেকশনে তিনি সগর্বে ঘোষণা করেছেন, তাঁর বক্ষযুগলই পোপের সবথেকে পছন্দের। স্বাভাবিকভাবেই ফের একবার পোপের এই 'কেলেঙ্কারি'র ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভ্যাটিকান থেকে এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা না হলেও, বড়দিনের ঠিক মুখে এই ঘটনায় তারা যারপরনাই অস্বস্তিতে, তা বলাই বাহুল্য।
গত ১৩ নভেম্বর ক্যাথলিক নিউজ এজেন্সি জানিয়েছিল পোপের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে ব্রাজিলিয়ান বিকিনি মডেল নাতালিয়ার গারিবোত্তোর একটি ওইরকম নগ্নপ্রায় ছবিতে 'লাইক' দেওয়া হয়েছে পোপের অ্যাকাউন্ট থেকে। পোপ বা ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় দাবি করে, তারা ফেসবুকের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম সংস্থার কাছে ওই ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছিল।
ক্যাথলিক চার্চ এই বিষয়ে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তও শুরু করেছে।
গত ৫ অক্টোবর গারিবোত্তো ওই ছবিটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন। ছবিতে তাঁকে একটি স্কুলের লকারের সামনে স্কুলের পোশাকে দেখা গিয়েছিল। খাটো পোশাকের নিচ দিয়ে দেখা যাচ্ছিল নিতম্বের কিছুটা অংশও। পোপের অ্যাকাউন্ট থেকে এই ছবিটিতে লাইক দেওয়ার স্ক্রিনশটও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেইসম্পর্কে গারিবোত্তো বলেছিলেন, 'আমার পশ্চাতদেশের ছবি আমার মা ঘৃণা করতে পারে তবে পোপ ডাবল-ট্যাপ করেন।' আরও বলেন, 'অন্তত আমি স্বর্গে যাচ্ছি।'
সেই ঘটনার পর আরও একবার একই রকম কেলেঙ্কারির মুখে পড়লেন খ্রিস্টান ধর্মের সর্বময় নেতা। তাও আবার ঠিক বড়দিনের মুখে। কেন বারবার একই ধরণের অস্বস্তিতে জড়াচ্ছেন তিনি? প্রাপ্তবয়স্ক ছবি-ভিডিও'র মডেলদের পোপ-এর এই 'লাইক' কী ইনস্টাগ্রামের কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যা? নাকি ফটোশপ করে বানানো? নাকি ভ্যাটিকান-এর অভ্যন্তরেই পোপ-কে বদনাম করার চেষ্টা করছে কেউ? সময়ই এর উত্তর দিতে পারে।