সংক্ষিপ্ত
ডিউক অফ ইয়র্ক প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সামরিক সহযোগিতা এবং রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতাগুলি রানিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিউক অফ ইয়র্কের কোনও নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
বাকিংহাম প্যালেসের ঐতিহ্য ও সম্মানের মহিমায় বড় ধাক্কা। যোন নির্যাতনের মামলার অভিযোগ ওঠায় ব্রিটেনের প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে (Britain's Prince Andrew) তার সামরিক খেতাব (military titles) এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠান (charities) থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার একথা ঘোষণা করেছে বাকিংহাম প্যালেস (Buckingham Palace)। রানীর ছেলের বিরুদ্ধে এক বিচারক যৌন নির্যাতনের দেওয়ানি মামলার রায় দেওয়ার একদিন পরে এই ঘোষণা করেছে বাকিংহাম প্যালেস।
প্যালেসের এক সূত্র বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, অ্যান্ড্রু আর কোনও অফিসিয়াল ক্ষমতায় "হিজ রয়্যাল হাইনেস" অধিকার ব্যবহার করবেন না। আরও জানানো হয়েছে রানির অনুমোদন নিয়েই এই সিদ্ধান্ত তৈরি করা হয়েছে। ডিউক অফ ইয়র্ক প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সামরিক সহযোগিতা এবং রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতাগুলি রানিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিউক অফ ইয়র্কের কোনও নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। সূত্র আরও জানিয়েছে ডিউকের সমস্ত ভূমিকা রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে পুনর্বন্টনের জন্য অবিলম্বে রানীর কাছে বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে এক মহিলাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে। সেই সময় ওই মহিলার বয়স ছিল ১৭ বছর। ভার্জিনিয়া জিউফ্রে নামের ওই মহিলা প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে করা মামলায় দাবি করেছেন যে, তিনি ২০০১ সালে তাকে অপব্যবহার করেছিলেন।
তবে যুবরাজ ধারাবাহিকভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। এর আগে বাকিংহাম প্যালেসও জানিয়ে দেয় যে, তারা বিচারাধীন আইনি বিষয়ে মন্তব্য করবে না। পরে নিউইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের ইউনাইটেড স্টেটস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক লুইস এ কাপলানের ৪৬ পৃষ্ঠার সিদ্ধান্তে মামলাটি খারিজ করার প্রস্তাবটি বাতিল করা হয়। এরপরেই বোঝা যায় ৬১ বছর বয়সী ডিউক অফ ইয়র্কের বিরুদ্ধে মামলাটিতে বেশ বিপাকে পড়তে চলেছেন তিনি।
তবে রানির দ্বিতীয় পুত্র প্রিন্স অ্যান্ড্রু, ২০১৯ সালে বিবিসি নিউজ নাইটের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন যে ভার্জিনিয়া জিউফ্রের সাথে কখনও দেখা করার কথা তার মনে নেই এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ব্রিটেনে তাদের মধ্যে কোন যৌন সম্পর্ক ঘটেনি।
এদিকে, জিউফ্রে গত আগস্টে অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার অভিযোগ ছিল দুই দশকেরও বেশি সময় আগে প্রিন্স অ্যান্ড্রু তাকে যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করেছিলেন। তার বয়স তখন ১৭ বছর ছিল। সে সময় তিনি লন্ডনে গিসলাইন ম্যাক্সওয়েলের বাড়িতে ছিলেন। জিউফ্রে বলেছেন যে, প্রিন্স অ্যান্ড্রু দুবার বাড়িতেও তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।