সংক্ষিপ্ত

মস্কো সূত্রে খবর পুতিন আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরে এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য রাশিয়ান বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী-নিয়ন্ত্রিত শহর ডোনেটস্কের রাস্তায় রাশিয়ান ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম জড়ো করার ছবি।

রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Russian President Vladimir Putin) বড়সড় পদক্ষেপ। ইতিমধ্যেই পূর্ব ইউক্রেনের (eastern Ukraine) বিক্ষুব্ধ অঞ্চলগুলিকে (rebel regions) চিহ্নিত করে সেখানে সেনা পাঠিয়েছে (troops to Ukraine) রাশিয়া। এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করতে বিশেষ বৈঠক ডেকেছেন পুতিন। তাহলে কি ইউক্রেনে হামলা চালানো সময়ের অপেক্ষা। কারণ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, পুতিনের এই বৈঠকের পরে পরিস্থিতি ও ইউক্রেন সংকট (crisis) আরও জটিল হতে পারে। 

মস্কো সূত্রে খবর পুতিন আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরে এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য রাশিয়ান বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী-নিয়ন্ত্রিত শহর ডোনেটস্কের রাস্তায় রাশিয়ান ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম জড়ো করার ছবি। 

আরও পড়ুন-রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট কাটাতে যু্দ্ধের মাঠে ফ্রান্স, বৈঠকে বসতে রাজি বাইডেন পুতিন

এদিকে, মঙ্গলবার ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন যে রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্ব অংশে বিদ্রোহী-সমর্থিত অঞ্চলগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরেও দমে যাচ্ছেন না তারা। সেনা পাঠানোর রাশিয়ান নির্দেশকে তারা ভয় পান না। কোনও ভাবেই মধ্যস্থতার রাস্তায় হাঁটবে না ইউক্রেন। 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও জানিয়েছেন যে রাশিয়া ২০১৪ সাল থেকে ডোনবাসে যে সেনা রেখেছিল, তারই অবস্থান বদল করাচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়া ডোনবাসে সেনা মোতায়েন করেছে, পরে মস্কো ক্রিমিয়া দখল করে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য কিভ ইন্ডিপেন্ডেন্টের মতে, রাশিয়া ইউক্রেনের কোনও এলাকায় সামরিক উপস্থিতি থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

আরও পড়ুন- পুতিনের আমন্ত্রণ গ্রহণ পাক প্রধানমন্ত্রীর, মস্কো সফরে যাচ্ছেন ইমরান খান

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের দুটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চলকে স্বাধীন হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। সেখানেই রাশিয়ান সেনাবাহিনীকে শান্তিরক্ষা অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে ইউক্রেন সংকট আরও জটিল হচ্ছে বলেই ধারণা। পুতিন রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সাথে হাত মিলিয়ে ইতিমধ্যেই সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বের চুক্তি সহ দুটি ইউক্রেনীয় বিচ্ছিন্ন অঞ্চল - স্বঘোষিত ডোনেস্ক পিপলস রিপাবলিক এবং লুগানস্ক পিপলস রিপাবলিক - এর স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। একটি ডিক্রিতে পুতিন স্বাক্ষরও করেছেন বলে খবর। 

একটি দীর্ঘ টেলিভিশন ভাষণে, পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে বর্ণনা করেন এবং বলেছিলেন যে পূর্ব ইউক্রেন ছিল প্রাচীন রাশিয়ান ভূমি। পুতিন আরও বলেছেন যে তিনি আত্মবিশ্বাসী যে রাশিয়ার জনগণ তার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করবে। আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ পশ্চিমী দেশগুলি বারবার হুঁশিয়ার করেছিল রাশিয়াকে। কিন্তু, সেই বিষয়কে গুরুত্ব দেননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকালই ইউক্রেনে বিচ্ছিনতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ডোনেটস্ক ও লুগানস্ককে স্বাধীন বলে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া।