সংক্ষিপ্ত
সমর বিশেষজ্ঞদের কথায় চিনা কমিউনিস্ট পার্টির এজাতীয় কার্যকলাপ যুদ্ধের একটি কৌশল। প্রতিপক্ষকে বারবার মানসিক চাপে ফেলা ছাড়া আর কিছুই নয়। ম্যান্ডারিন ভাষায় অরুণাচল প্রদেশের ১৫টি স্থানের চিনা নামকরণ মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের একটি অঙ্গ। সীমান্ত ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে চাপে রাখতেই এজাতীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।
ভারতের (India) ওপর চিন (China) আবারও নতুন করে চাপ বাড়াতে শুরু করেছে। কারণ নতুন বছরের প্রথম দিনেই ভারতে উত্তর ও পূর্বভারতের প্রধান প্রতিপক্ষ চিনা সেনা বাহিনীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর একদিন যেতে না যেতেই সামনে আসে সেই দিনই চিনা সেনার আগ্রাসনের কথা। কারণ বছরের প্রথম দিনই চিনা সেনা গালওয়ানে উড়িয়েছিল সেদেশের লাল পতাকা। চিনা সেনার এই কার্যকলাপ সম্ভবতই ভারতের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বলে দাবি করেছেন সমর বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে সম্প্রতি ভারতের অরুণাচল প্রদেশের প্রায় ১৫টি এলাকার নামকরণ করেছে চিনা সেনা। কিন্তু কেন?
সমর বিশেষজ্ঞদের কথায় চিনা কমিউনিস্ট পার্টির এজাতীয় কার্যকলাপ যুদ্ধের একটি কৌশল। প্রতিপক্ষকে বারবার মানসিক চাপে ফেলা ছাড়া আর কিছুই নয়। ম্যান্ডারিন ভাষায় অরুণাচল প্রদেশের ১৫টি স্থানের চিনা নামকরণ মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের একটি অঙ্গ। সীমান্ত ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে চাপে রাখতেই এজাতীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।
এজাতীয় খেলা এর আগে চিনারে খেলেছে তাইওয়ানের সঙ্গে। তাইওয়ান প্রজাতন্ত্র ও তার সমর্থক দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির যুদ্ধবিমানগুলি ২০২১ সালে বেশ কয়েকবার তাইপেই -র দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের আকাশনীতি লঙ্ঘন করেছে। ২৮ নভেম্বর সবথেকে বড় আকাশনীতি লঙ্ঘন করেছিল চিন। সেই সময় প্রায় ২৭ জন যোদ্ধা একগুচ্ছ বোমারুবিমান নিয়ে চক্কর দিয়েছিল তাইওয়ান সীমান্তে। নতুন বছরের প্রথম দুটি দিনও চিনা সেনা তাওয়ানকের আকাশ সীমান্ত লঙ্ঘন করেছে।
চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং তাইওয়ানের নীতিও ভারতের ক্ষেত্রেও কার্যকর করছেন।পয়লা জানুয়ারি সীমান্তে ভারতের হাত থেকে মিষ্টি উপরহার নিলেও সেই দিনই ভারতের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করে গালওয়ান সীমান্ত প্রবেশ করে চিনা জাতীয় পতাকা নিয়ে। যদিও তারও আগে নিজেদের ইচ্ছেমত নাম বদলে দেয় অরুণাচলের ১৫টি স্থানের।
যদিও গত বছর থেকেই চিনা সেনা অরুণাচল সীমান্তে সমস্যা তৈরি করেছে বেশ কয়েকটা গ্রাম তৈরি করেছে বলেও উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে। পাশাপাশি লাদাখ ইস্যুতে পিছু হটলেও এখনও বেশ কিছু জায়গায় ঘাঁটি তৈরি করে বসে রয়েছে চিনা সেনা।
যাইহোক, সম্ভবত চিনের এই পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার জন্য সম্প্রতি দলাই লামার সঙ্গে দেখা করেছিলেন আইএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি শুধুমাত্র দলাই লামাপ সঙ্গেই আলোচনা করেননি, দেখা করেছিলেন নির্বাসিত তিব্বতি নেতাদের সঙ্গে। তাইওয়ান, সিঙ্কিয়াং ও তিব্বত ইস্যুতে তিনি আলোচনা করেছিলেন।
অন্যদিকে ভারতও হাত গুটিয়ে বসে নেই। জিনজিয়াং থেকে সিঙ্কিয়াং শহরের নাম পরিবর্তন করে বেজিং-এর অভ্যাস অনুকরণ করেছে। বেজিং-এ ভারতীয় দূতাবাস সরাসরি চিনা প্রচার মাধ্যমে কিছু জানায়নি। কারণ কূটনৈতিক শিস্টাচার মেনে চলেছে ভারত। ভারতও সার্ভেয়ার জেনারেলের নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে। যা তিব্বতকে আদালা করেছে। পাশাপাশি সিসিপির জিজাং নামকরণে মেনে নিচ্ছে না।
Viral Video: ফ্রাজিল বরফ শুষে নিল শেষ জলধারাটি, এক মিনিটের ভিডিও দেখে অবাক নেটিজেনরা
Bangladesh: তিন মন্দিরে 'পবিত্রতা নষ্ট' করার অভিযোগ, তৎপর বাংলাদেশের পুলিশ
Covid Will End: ২০২২ সালেই শেষ হবে কোভিড-মহামারি, সঙ্গে 'যদি' জুড়ে দিলেন WHO প্রধান