সংক্ষিপ্ত

শুক্রবার ভোররাতে লালমনিরহাট জেলার গেন্দুকুড়ি গ্রামে তিনটি হিন্দু মন্দির ও স্থানীয় একটি বাড়ির দরজায় পলিথিনের ব্যাগে ভরে কাঁচা গো-মাংস রেখে যায় দুষ্কৃতীরা। তেমনই অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আবারও বাংলাদেশে (Bangladesh) আক্রান্ত হিন্দুরা (Hindu)। তিনটি মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট করার অভিযোগ। তবে এবার তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করল পুলিশ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী লালমণিরহাট জেলার ঘটনার প্রতিবাদে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দেখানোর পরই সেদেশের পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছে। তেমনই দাবি করা হয়েছে একটি মিডিয়া রিপোর্টে। 

শুক্রবার ভোররাতে লালমনিরহাট জেলার গেন্দুকুড়ি গ্রামে তিনটি হিন্দু মন্দির ও স্থানীয় একটি বাড়ির দরজায় পলিথিনের ব্যাগে ভরে কাঁচা গো-মাংস রেখে যায় দুষ্কৃতীরা। তেমনই অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনার পরই স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ইচ্ছেকৃতভাবে মন্দিরের প্রবিত্রতা নষ্ট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। ডেইলি স্টার পত্রিকায় তেমনই দাবি করা হয়েছে। এই বিষয়ে শুক্রবার রাতে হাতিবান্ধা থানায় চারটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

শনিবার স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা গ্রামের শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দিরের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। হাতিবান্ধা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দিলীপ কুমার সিংহ অভিযোগ করেন, গেন্দুকুড়িতে রাধাগোবিন্দ মন্দির, কুঠিপাড় কালী মন্দির ও বটলতা কালী মন্দিরের প্রবিত্রতা নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েচে। তিনটি মন্দির ও স্থানীয় বাসিন্দা মণীন্দ্রনাথ বর্মনের বাড়ির দরজায় গো-মাংসভর্তি ব্যাগ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন স্থানীয় পুলিশকে খবর দেওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তিনি আরও বলেন পুলিশ আশ্বস্ত করেছেন দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। 

হাতিবান্ধা থানার পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

অক্টোবরে দুর্গাপুজোর সময়ও এই জাতীয় ঘটনা ঘটেছিল বাংলাদেশে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতী নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছিল। ভেঙে দেওয়া হয়েছিল হিন্দুদের দুর্গাপ্রতিমা। ভাঙচুর করা হয়েছিল মন্দিরে। ইসকনের মন্দিরেও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রায় ২০টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময়ও আক্রান্ত হয়ে হিন্দুরা অবস্থায় বিক্ষোভে সামিল হয়েছিল। 

সেইসয়মই তৎপর হয় বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিরা। ফোরামের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কড়া হাতে গোটা পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানান হয়ে। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য একটি আইন প্রনয়ণ করার দাবিও জানিয়েছিল সেই সংগঠন। একটি সংখ্যালঘু জাতীয় কমিশন গঠনেরও দাবি জানান হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামি লিগের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের একটি সংগঠন দূর্গাপুজোয় হিংসার ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছিল।

New Year Greeting: চিন ও পাক সেনা বাহিনীর প্রতি ভারতের 'মিষ্টি' বন্ধুত্ব, নতুন বছরের শুভেচ্ছা

Kim Jong Un: নতুন বছরে অঙ্গীকার কিমের, অর্থনীতির ওপর সবথেকে বেশি জোর দেবে উত্তর কোরিয়া

'নবান্ন স্পনসরড কোভিড ১৯ তৃতীয় তরঙ্গ চলছে ' , রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ শমীক ভট্টাচার্যের