সংক্ষিপ্ত

ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে যুক্ত টেলিগ্রাম চ্যানেলে শেয়ার করা একটি অডিও ক্লিপে এই ঘটনাটি উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার স্নেক দ্বীপে মোতায়েন ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা বাহিনী এবং একজন রাশিয়ান নৌ অফিসারের মধ্যে এই কথোপকথন স্পষ্টভাবে সামনে এসেছে।

মাথা নোয়াব না, এমনই মনোভাব নিয়ে আপাতত লড়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। ২৪ তারিখ ভোর থেকেই চলছে লাগাতার গোলাবর্ষণ। একই সঙ্গে ইউক্রেনও বলেছে, রাশিয়ার অনেক বিমান ও হেলিকপ্টার তারা গুলি করে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। এদিকেই এই রাস্তাতেই ক্রমেই জোরালো হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বের সম্ভাবনা। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে এই যুদ্ধ দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে রাশিয়ার সামনে বেশিদিন টিকতে পারবে না ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এর কারণ হচ্ছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনের চেয়ে অনেক বড়।

তবু অদম্য মনোভাব আর জেদ নিয়ে লড়ে চলেছে তারা। এরকমই ঘটনা সামনে এল। রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজের (Russian warship) কাছে আত্মসমর্পণ (surrender) করতে সরাসরি অস্বীকার করল ১৩জন ইউক্রেনিয় সেনা (Ukrainian border guards)। এদের মোতায়েন করা ছিল কৃষ্ণ সাগরের (Black Sea) একটি ছোট দ্বীপে (tiny island)। সেখানে রাশিয়ার সেনার সামনে আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকার করে তারা। রাশিয়ার সেনার আত্মসমর্পণ করার প্রস্তাবে রীতিমত অশ্লীল গালি বর্ষণ করে ইউক্রেনিয় সেনা। 

রাশিয়ার নৌসেনার যুদ্ধজাহাজের বিদ্রোহী ইউক্রেনিয়ানদের সেই অশ্লীল মন্তব্য পরিষ্কার শোনা যায়। এরপরেই ওই ১৩ জন ইউক্রেনিয় সেনার ওপর হামলা চালায় রাশিয়া। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় প্রত্যেকে। বৃহস্পতিবারের রাতের দিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাদের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে নেন।   

ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে যুক্ত টেলিগ্রাম চ্যানেলে শেয়ার করা একটি অডিও ক্লিপে এই ঘটনাটি উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার স্নেক দ্বীপে মোতায়েন ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা বাহিনী এবং একজন রাশিয়ান নৌ অফিসারের মধ্যে এই কথোপকথন স্পষ্টভাবে সামনে এসেছে।

রাশিয়ার তরফ থেকে বলা হয় "এটি একটি রাশিয়ান সামরিক যুদ্ধজাহাজ। আমি পরামর্শ দিচ্ছি যে আপনি আপনার অস্ত্র রেখে দিন এবং রক্তপাত এবং অপ্রয়োজনীয় হতাহতের ঘটনা এড়াতে আত্মসমর্পণ করুন। নইলে বোমা মারা হবে।" তারই উত্তরে অত্যন্ত অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয় রাশিয়ার ওই নৌ অফিসারকে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে ইউক্রেনের হতাহতের সংখ্যা ১৩৭য়ে পৌঁছেছে, আরও ৩১৬ জন আহত হয়েছে।

এদিকে, রাশিয়া তিনটি প্রধান দিক থেকে ইউক্রেনে বড় আক্রমণ শুরু করেছে। শেষ পাওয়া খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ান সেনা উত্তর দিক থেকে কিয়েভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে; পূর্ব থেকে ডোনেটস্ক, লুহানস্ক এবং খারকিভের মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে ও দক্ষিণে ক্রিমিয়া থেকে শহর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। ২৪ ঘন্টারও কম সময়ে, কয়েক ডজন টার্গেট বানিয়ে, তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলীয় লুহানস্ক, সামি, খারকিভ, ছেরনিহিভ এবং ঝিতোমির অঞ্চলে হামলা চলছে।

ইউক্রেনের প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাশিয়ান সেনা ওডেসা এবং মারিউপোল বন্দরে অবতরণ করেছে। রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর এবং আজভ সাগরে একটি বড় সেনা সাঁজোয়া নিয়ে ইউক্রেনের উপকূলে, প্রধান যুদ্ধ ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান এবং কর্মীদের মোতায়েন করতে সক্ষম জাহাজগুলিকে সাজিয়ে রেখেছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী ইউক্রেনের পূর্বে দোনেস্ক এবং লুহানস্কের দিকে জড়ো হয়েছে।