সংক্ষিপ্ত
জেলেনস্কি বলেন, এই বাঁধে কোনো বিপদ হলে আশপাশের এলাকা বন্যায় তলিয়ে যেতে পারে। এতে লাখ লাখ মানুষ বিপদে পড়বে। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের জন্য জল সরবরাহ বন্ধ করা হবে।
গত ৮ বছর ধরে ইউক্রেনে রুশ হামলা এখন বন্যায় পরিণত হতে পারে? ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এক বিবৃতি থেকে তেমনই ইঙ্গিত মিলছে। তিনি বলেছেন যে রাশিয়া তার সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ বাঁধে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জেলেনস্কির দাবি, 'ফলস ফ্ল্যাগ' অপারেশনের আওতায় রাশিয়া এই হামলা করতে পারে। এই বাঁধ ভেঙে গেলে ইউক্রেনের ৮০টি শহর, গ্রাম ও শহর তলিয়ে যেতে পারে। সবচেয়ে বড় হুমকি হবে খেরসন শহরের ওপর, যা স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা বলছে, কাখোভকা বাঁধে হামলার মাধ্যমে রাশিয়া চেষ্টা করছে মহাপ্রলয় আনার। যদি এটা সত্যি হয়, তবে তা হবে ইউক্রেনের ওপর সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট এবং একটি বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
ইউরোপীয় নেতাদের উদ্দেশে জেলেনস্কি বলেছিলেন যে রুশ বাহিনী আক্রমণ করার জন্য এই বাঁধ বেছে নিয়েছে। জেলেনস্কি বলেন, এই বাঁধে কোনো বিপদ হলে আশপাশের এলাকা বন্যায় তলিয়ে যেতে পারে। এতে লাখ লাখ মানুষ বিপদে পড়বে। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের জন্য জল সরবরাহ বন্ধ করা হবে। শুধু তাই নয়, Zaporizhzhya নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের কুলিং সিস্টেমও এর দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। এছাড়া উত্তর ক্রিমিয়ান খালও ধ্বংস করতে পারে রাশিয়া। এটি ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ার দখলে রয়েছে। জেলেনস্কি আশঙ্কা করেছেন যে এটিও ধ্বংস করে রাশিয়া বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেছেন, রাশিয়া এসব এলাকায় ইউক্রেনের বাহিনীর প্রবেশ ঠেকানোর চেষ্টা করছে। প্রকৃতপক্ষে, ইউক্রেন ইতিমধ্যে একটি গভীর সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। দেশের অনেক শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। এর কারণ হলো, এর আগেও রাশিয়া থেকে ইলেকট্রিক পাওয়ার স্টেশনে হামলা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহেও। শুধু তাই নয়, আবারও ইউক্রেন থেকে বের হয়ে আসা মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলকে উদ্দেশ্য করে জেলেনস্কি বলেন, "রাশিয়ার নেতৃত্ব এখন আমাদের শক্তি ব্যবস্থাকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।" এর পরিণতি হবে অত্যন্ত বিপজ্জনক। এটি গোটা ইউরোপের জন্য উদ্বেগের বিষয় হবে।
রাশিয়া ইউক্রেনের ৩০ শতাংশ পাওয়ার স্টেশন ধ্বংস করেছে
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের প্রায় ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। কিয়েভের অনেক এলাকায় ক্রমাগত ব্ল্যাকআউট পরিস্থিতি রয়ে গিয়েছে। এখন সরকারকে নাগরিকদের কাছে সর্বনিম্ন পরিমানে বিদ্যুৎ ব্যবহার করার আবেদন করতে হবে। জেলেনস্কি বলেছেন যে এমনকি আমাদের ক্ষুদ্র বিদ্যুৎ সঞ্চয়ও ইউক্রেনে একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
করুণাময়ী-কাণ্ডে সরব অপর্ণা সেন, ঋদ্ধি আর কমলেশ্বরের ফেসবুকে পুলিশের নিন্দা
দীপাবলির আগেই মজুত বাজি বিস্ফোরণে মৃত ৪, ভেঙে গুঁড়িয়ে গেল আস্ত দোতলা বাড়ি