সংক্ষিপ্ত
ফ্রান্সের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যস্থতার বাইডেন ও পুতিন ইউরোপের নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হয়েছেন। দুই রাষ্ট্রপ্রধানই এজাতীয় বৈঠকের ওপর ভরসা রাখছেন ও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে (Ukraine-Russia Crisis) নতুন মোড়। এবার সম্পূর্ণ অন্য পথে হাঁটছে পশ্চিমের দেশগুলি। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়ের ম্যাক্রোঁর মধ্যস্থতায় বৈঠকে বসাতে রাজি হয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Russian President Vladimir Putin)। খুব তাড়াতাড়ি তিনি বৈঠকে বসতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্টে জো বাইডেনের (US President Joe Biden) সঙ্গে। ফ্রান্সের কূটনৈতিক গ্যাম্বিট বলেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান নীতিগতভাবে বৈঠকে সম্মত হয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না বৈঠক হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করবে না- এমনটাও শর্ত দেওয়া হয়েছে। তবে দ্রুত যাতে দুই রাষ্ট্রপ্রধান বৈঠকে বসেন তারই ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও সূত্রের খবর। হোয়াইটহাউসের প্রেস সেক্রেটারি জন সারি সাকি বলেছেন প্রশাসন স্পষ্ট করে জানিয়েছে আক্রমণ শুরু না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনে সমস্যার সঙ্গে যুক্ত সবকটি দেশই কূটনৈতিক পথ অনুসরণ করবে।
ফ্রান্সের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যস্থতার বাইডেন ও পুতিন ইউরোপের নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হয়েছেন। দুই রাষ্ট্রপ্রধানই এজাতীয় বৈঠকের ওপর ভরসা রাখছেন ও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বৃহস্পতিবার ইউরোপের কোনও একটি স্থানে বৈঠক করবেন বলেও সূত্রের খবর। আর সেই পর্যন্ত রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করবে না বলেও জানিয়ে রুশ প্রশাসন। মার্কিন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কূটনৈতিক আলোচনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সর্বদা তৈরি রয়েছে। যুদ্ধ এড়াতে কূটনীতির ওপরই ভরসা রাখছেন জো বাইডেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে রাশিয়া এমন সময় বৈঠকের জন্য রাজি হয়েছে, যখন সামরিক মহড়া প্রায় শেষের দিকে। কারণ রবিবারই ইউক্রেনের প্রতিবেশী বেলারুশে সেনা মহড়া শেষ হয়েছে। এই মহড়ায় প্রায় ৩০ হাজার রুশ সেনা অংশ নিয়েছিল। শনিবার সেখানে পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়াও হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দেড় লক্ষ রাশিয়ান সেনা মোতায়েন রয়েছে। সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ট্যাঙ্ক, যুদ্ধবিমান রেখেছে রাশিয়া। গোটা এলাকায় যুদ্ধের যুদ্ধের সাজ সাজ রব তৈরি হয়েছে। যা দেখে উৎকণ্ঠা বাড়ছে ইউক্রেনের।
রাশিয়ার এই পদক্ষেপের কারণে রাশিয়ার ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা চাপাতে চলেছে আমেরিকা। পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কেরি জানিয়েছেন, রাশিয়া যদি আক্রমণ করে তাহলে অবশ্যই আর্থিক প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে পুতিনকে। তবে এখনও পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেনি রাশিয়া। কারণ আগের মত এখনও পর্যন্ত রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলে চলেছেন আপাতত ইউক্রেন হামলার কোনও পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। তবে কেন এত সেনা মোতায়েন তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি তিনি।
শুরু পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন, 'প্রথমবারের ভোটারদের আহ্বান' জানিয়ে টুইট মোদীর
মাথায় পাগড়ি বেঁধে আফগান পোশাকে হিন্দু-শিখ প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদীর
কাশ্মীরে চলতি বছর ১৫তম এনকাউন্টারে হত ১, বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি