সংক্ষিপ্ত

২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে। সেই সময়ই রাশিয়া-বেলারুশ সীমান্ত অবস্থিত চেরনোবিলের পরিত্যক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দখল করে নেয়। যদিও ১৯৮৬ সালের পর থেকেই এখানে উৎপাদন বন্ধ হয়ে রয়েছে। 

কী অবস্থায় রয়েছে সোভিয়েত আমলের ধ্বংসপ্রাপ্ত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চেরনোবিলের ( Chernobyl)? রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ( Russia-Ukraine war) আবহে জানা নেই রাষ্ট্র সংঘের। কারণ বুধবার রাষ্ট্র সংঘের (UN)পারমাণবিক নজরদারী সংস্থা জানিয়েছেন, চেরনোবিল আর তাদের কাছে ডেটা পাঠাচ্ছে না। পাশাপাশি ইউক্রেনে রুশ সেনা বাহিনীর আগ্রাসন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। 

একই সঙ্গে বলা হয়েছে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে। সেই সময়ই রাশিয়া-বেলারুশ সীমান্ত অবস্থিত চেরনোবিলের পরিত্যক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দখল করে নেয়। যদিও ১৯৮৬ সালের পর থেকেই এখানে উৎপাদন বন্ধ হয়ে রয়েছে। সেই সময়ই প্ল্যান্টের দুর্ঘটনার কারণে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বিষক্রিয়া ছড়িয়ে গিয়েছিল পশ্চিম ইউরোপের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। 

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি মনে করেন চোরনোবিল এনপিপিতে ইনস্টল করা সুরক্ষা, পর্যবেক্ষণ সিস্টেম থেকে দূরবর্তী  ডেটা ট্রান্সমিশন হারিয়ে গেছে বলেও বিবৃতি দিয়েছে। পাশাপাশি পরমানু সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের অন্যান্য স্থানের সুরক্ষাও পর্যবেক্ষণ করে দেখবে। ইন্টারন্যাশানাল এ্যাটোমিক এনার্জি এসেন্সি বা আইএইএ গোটা বিশ্ব জুড়ে পারমাণবিক উৎপাদন আর ক্রিয়াকলাপের ওপর নজরদারী চালায়। পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধেও সক্রিয় এই সংস্থা। 


ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ২০০ জনেরও বেশি প্রযুক্তিগত কর্মী ও রক্ষী এখনও চেরনোবিল সাইটে আটকে রয়েছে। রাশিয়ার দখলের ১৩ দিন পরেও তারা সেখানে কাজ করে যাচ্ছে। ইউক্রেনের অভিযোগ রুশ সেনারা তাদের জোর করে আটকে রেখেছে। সেখানে প্রায় ২০০ কর্মী রয়েছে বলেও দাবি ইউক্রেন প্রশাসনের।

ইউক্রেনের পারমাণবিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েচে সাইটের পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। বিপর্যস্ত প্ল্যান্টটি একটি বর্জিত এলাকায় রয়েছে। সেখানে জিকমিশনড রিঅ্য়াক্টর ও তেজস্ক্রিয় বর্জ্যে উপলব্ধ  রয়েছে। ২০০ জনকে সেখানে আটকে রেখে কাজ করানো হচ্ছে। যা আরও এরটি পারমাণবিক বিপর্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে বিশ্বকে। 

ইউক্রেনের এই অভিযোগের পরই রাশিয়াকে সতর্ক করেছে রাষ্ট্র সংঘ। অমিলম্বে ইউক্রেনের কর্মীদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি চোরনোবিল প্ল্যান্টটি দখলদাবি মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। 

ইউক্রেনের পারমানহিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান গ্রেসি বলেছেন চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মীদের অবস্থা ভয়াবহ। কঠিন পরিস্থিতিতে প্রবল চাপ নিয়ে তাদের কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। যা পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তিনি। তাই তিনি দ্রুত কর্মীদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। 

রিমোট ডেটা ট্রান্সমিশন বন্ধ হয়ে যাওযায় ইউক্রেন প্রসাসন চেরনোবিলের সঙ্গে শুধুনাত্র ইমেইলের মাধ্যমেই যোগাযোগ করা হচ্ছে। সেই কারণে তিনি সমস্ত পক্ষের কাছেই চেরনোবিল প্ল্যান্টের সুরক্ষা আর নিরাপত্তা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। 

মোদীর দুটি ফোনেই বাজিমাত, ইউক্রেন থেকে নিরাপদে সব ভারতীয়কে সরাল দূতাবাস

ন্যাটোর জন্য আর ভিক্ষে করবেন না, তবে কি রুশ চাপের কাছে মাথা নত করতে চলেছেন জেলেনস্কি

সোশ্যাল মিডিয়ার 'যাদুকাঠি'র ছোঁয়া, বেলুন বিক্রেতা এক লহমায় হয়ে গেলেন সুন্দরী মডেল
অন্যদিকে ইউক্রেনের উপস্থিত ইউরোপের সবথেকে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঝাপোরিজিয়াও বর্তমানে রুশ সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও দাবি কিয়েভের। তবে সেখানে এখনও তেজস্ক্রিয়তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্ল্যান্টটি স্বাভাবিক ভাবেই কাজ করছে বলেও কিয়েভ জানিয়েছে। তবে সেখানকার ইউক্রেন কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে ইউক্রেন।