সংক্ষিপ্ত

ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই রাশিয়ান রাষ্ট্রপতির স্বাস্থ্য  নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তা আরও জোরদার হয় গত মাসে থেকেই একাধিক অনুষ্ঠানে পুতিনের অনুপস্থিতি। 

ইউক্রেন আগ্রাসনের মধ্যেই ক্ষমতা হস্তান্তর করে ছুটিতে গিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি গুরুতর অসুস্থ  তাই ছুটিতে রয়েছেন- এমনও শোনা গিয়েছিল। মার্কিন গোয়েন্দারা জানিয়েছিল ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি। সম্প্রতি আবারও শিরোনামে রুশ প্রেসিডেন্ট।  এবার পুতিনের ঘনিষ্ট ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে দাবি করে অলিগার্চ বলে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত পুতিন। তিনি রীতিমত অসুস্ত বলেও জানিয়েছেন সেই ব্যক্তি। 

অন্যদিকে ক্রিস্টোফার স্টিল জানিয়েছেন রুশ প্রশাসনের এক কর্তাব্যক্তির থেকে তিনি নাকি জানতে পেরেছেন খুবই অসুস্থ পুতিন। স্টিল ডোনাল্ট ট্রাম্পের ওপর একটি ব্রশিওর লিখেছিলেন। একই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগও করেছিলেন তিনি। তিনি স্কাইনিউজকে পুতিনের অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন। 

রুশ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে ব্যবসায়ী অলিগার্চের।  পুতিনের ঘনিষ্ট বিত্তে তাঁর ওঠা বসা রয়েছে বলেও সুত্রের খবর। সেই অলিগার্চ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন পুতিন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। তবে বর্তমানে পুতিন কোথায় রয়েছেন- তা নিয়ে একটি কথাও বলেননি তিনি। সম্প্রতি মার্কিন ম্যাগাজিনে তাঁর বক্তব্যে প্রকাশিত হয়েছএ। 

ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই রাশিয়ান রাষ্ট্রপতির স্বাস্থ্য  নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তা আরও জোরদার হয় গত মাসে থেকেই একাধিক অনুষ্ঠানে পুতিনের অনুপস্থিতি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও পুতিনের বেশ কিছু ছবি শেয়ার হয়েছে। সেখানে তাঁকে অসুস্থ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। বোমারু জ্যাকেট পরে পুতিন কাশছেন। পায়ে সবুজ আবরণের ছবি- যা পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও রুশ প্রশাসন এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

অলিগার্চ আরও জানিয়েছেন ইউক্রেন আক্রমণের কিছু আগেই পুতিনের পিঠে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।  যা ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসার কারণে হয়েছিল । তিনি আরও বলেছেন রাষ্ট্রপতি রীতিমত জেদি একজন ব্যক্তি।  সম্প্রতি পুতিন ও রাশিয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর একটি ভিডিও ক্লিপ সামনে এসেছে। ১২ মিনিটের ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে পুতিন একটি টেবিল শক্ত করে আঁকড়ে ধরে কথা বলছেন। 

অলিগার্চ আরও জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি পুতিনের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। তিনি মারা যেতে পারেন দ্রুত। তবে যুদ্ধের কারণে তিনি রুশ অর্থনীতি প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন পুতিনের এই মনোভাবের প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। পুতিনকে একজন পাগল বলেও কটাক্ষ করেছেন। বলেছেন রাষ্ট্রপতি এমন একজন মানুষ যিনি বিশ্বের উল্টোদিকে হাঁটেন। 

অনেকটা একই দাবি করেছে ইউক্রেন। কিয়েভ থেকে বলা হয়েছে, পুতিন মানসিক ও শারীরিক ভাবে খুবই অসুস্থ।