সংক্ষিপ্ত

ব্রিটিশ প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বলা যেতে পারে, রুশ বাহিনী ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমছে। ভাঙছে মনোবল।

একদিকে রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন অসুস্থ। অন্যদিকে রাশিয়ার অসন্তোষ- এরই মাঝে ইউক্রেনের মাটিতে ক্রমশি নিজেদের শক্তি হারিয়ে ফেলছে রাশিয়ান সেনা বাহিনী। তেমনই দাবি করেছে ব্রিটেন। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে রাশিয়ান বাহিনী ফেব্রুয়ারিতে যে অবস্থায় ছিল তার তুলনায় ইউক্রেনের মাটিতে এক তৃতীয়াংশ শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পূর্ব ইউক্রেনের রাশিয়ার অভিযান একদমই গতি হারিয়েছে । ইউক্রেন বাহিনীর কাছে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেন এখনও অদম্য মনোভাব নিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন সূত্রের খবর চলতি বছর শেষের দিকেই এই যুদ্ধে তারা জয়লাভ করবে। এমনটাও আশা প্রকাশ করা হয়েছে। 

ব্রিটিশ প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বলা যেতে পারে, রুশ বাহিনী ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমছে। ভাঙছে মনোবল। তারই সুযোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ইউক্রন। রাশিয়ার সেনা বাহিনীকে বাধা দিতে রীতিমত মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে ইউক্রেন। 

গোয়েন্দাদের খবর অনুসারে, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রাশিয়ার অগ্রগতির সম্ভাবনা খুবই কম। তারণ পুরো সেনা বাহিনী রীতিমত দ্বিধাগ্রস্ত। অন্যদিকে ইউক্রেন সেনা যে রুশ সীমান্তের কাছে পৌঁছে গিয়েছে সেই দাবিও করেছেন ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রয়টার্সের খবর অনুযায়ী ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দাবি করেছে,  দেশের ১২৭ নম্বর ব্যাটালিয়নের সেনারা রাশিয়ার সীমান্তে পৌঁছে গেছে। তারা বিজয়ের জন্য তৈরি। অস্ট্রিয়ায় ইউক্রেনের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূতও একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে এই দাবির সমর্থনে তিনি লিখেছেন, 'প্রেসিডেন্ট আমরা এটা করেছি। এটা ইউক্রেনের গর্ব। বীরদের গৌরব।' 

অন্যদিকে বার্লিনে ন্যাটোর পররাষ্ট্ররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকে জার্মানির প্রতিনিধি আনালেনা বোয়ারবক বলেছেন ইউক্রেনের আত্মরক্ষার জন্য যতদিন সামরিক সাহায্য দেওয়া প্রয়োজন তত দিনই  তা দেওয়া হবে। 

অন্যদিকে উত্তর ইউক্রেনের খারকিভ থেকেও নাকি রুশ সেনা পিছু হাঁটছে। ইউক্রেন প্রশাসনের দাবি রাশিয়ার সেনারা খারকিভ ছেড়ে পিছিয়ে যাচ্ছে। তারা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতে আশ্রয় নিয়েছে। 

ক্রিস্টোফার স্টিল জানিয়েছেন রুশ প্রশাসনের এক কর্তাব্যক্তির থেকে তিনি নাকি জানতে পেরেছেন খুবই অসুস্থ পুতিন। স্টিল ডোনাল্ট ট্রাম্পের ওপর একটি ব্রশিওর লিখেছিলেন। একই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগও করেছিলেন তিনি। তিনি স্কাইনিউজকে পুতিনের অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন। 

রুশ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে ব্যবসায়ী অলিগার্চের।  পুতিনের ঘনিষ্ট বিত্তে তাঁর ওঠা বসা রয়েছে বলেও সুত্রের খবর। সেই অলিগার্চ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন পুতিন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। তবে বর্তমানে পুতিন কোথায় রয়েছেন- তা নিয়ে একটি কথাও বলেননি তিনি। সম্প্রতি মার্কিন ম্যাগাজিনে তাঁর বক্তব্যে প্রকাশিত হয়েছএ। 

ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই রাশিয়ান রাষ্ট্রপতির স্বাস্থ্য  নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তা আরও জোরদার হয় গত মাসে থেকেই একাধিক অনুষ্ঠানে পুতিনের অনুপস্থিতি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও পুতিনের বেশ কিছু ছবি শেয়ার হয়েছে। সেখানে তাঁকে অসুস্থ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। বোমারু জ্যাকেট পরে পুতিন কাশছেন। পায়ে সবুজ আবরণের ছবি- যা পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও রুশ প্রশাসন এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

বুদ্ধজয়ন্তীতে লুম্বিনীতে প্রধানমন্ত্রী মোদী, নেপালের সঙ্গে একাধিক কৌশলগত বিষয় নিয়ে আলোচনা
মাত্র পাঁচ মিনিটেই তৈরি করুন গোলাপের শরবত, রইল তারই রেসিপি
তাজমহলের রহস্যময় ২২টি বন্ধ ঘরের ছবি প্রকাশ, তাহলে কি এবার বিতর্ক শেষ হবে