সংক্ষিপ্ত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান সংক্রান্ত চুক্তি নিয়ে এবার সরব হলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি পাকিস্তান- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, যে ইসলামাবাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক আমেরিকার স্বার্থ পুরণ করেনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান সংক্রান্ত চুক্তি নিয়ে এবার সরব হলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি পাকিস্তান- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, যে ইসলামাবাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক আমেরিকার স্বার্থ পুরণ করেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জয়শঙ্কর। রবিবার ওয়াশিংটনে প্রবাসী ভারতীয়দের একটি অনুষ্ঠানে রীতিমত চড়া সুরেই কথা বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'এটি এমনএকটি পদক্ষেপ যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থপুরণ করবে না আবার পাকিস্তানের স্বার্থ পুরণ হবে না।'
ভারতেকে রাশিয়া এস-৪০০০ মিসাইল বিক্রি করেছে। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু পাল্টা হিসেবে পাকিস্তানকে এফ - ১৬ ফাইটার জেট সংক্রান্ত সামরিক প্যাকেজ নিয়ে পদক্ষেপ করছেআমেরিকা। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে, ২০১৮ সালের পর প্রথমবারের মতো, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের F-16 বহর এবং সরঞ্জামের টেকসইতার জন্য পাকিস্তান সরকারকে একটি বিদেশী সামরিক বিক্রয় অনুমোদন করেছে।
আগেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনকে চিঠি লিখে পাকিস্তানের সঙ্গে এই চুক্তি করার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্ত ভারতের পক্ষে যথেষ্ট উদ্বেগের। তারপর এদিন জয়শঙ্কর বলেন, আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সত্যিই এই সম্পর্কের গুণাবলী ও এই সম্পর্ক থেকে তারা যা পায় তা প্রকাশ করা জরুরি। তিনি আরও বলেন, 'আমাদের বোকা বানানোর চেষ্টা করবেন না।' জয়শঙ্কর আরও হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত আমেরিকার 'ইন্ডিয়া ফার্স্ট নীতির পরিপন্থী'। তিনি আরও বলেন, এটা কেউ বিশ্বাস করবে না যে কেউ চাইল আর আমি তাতে রাজি হয়ে গেলাম। একই সঙ্গে তিনি বলেন বাইডেনের উত্তরসূরী বারাক ওবামা পাকিস্তানের হাতে পরমাণু অস্ত্র বহনকারী এফ-১৬ ফাইটার জেট তুলে দিয়েছিল। কিন্তু মার্কিন শর্ত উপেক্ষা করে তা পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে।
এদিন জয়শঙ্কর বলেন, 'আমি যদি মার্কিন নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলি তাহলে সত্য ঘটনাতি তুলে ধরতাম। তাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতাম তারা কী করছে।' ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন। তারপর তাঁর গন্তব্য ওয়াশিংটন। তিন দিন সেখানে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে বিদেশমন্ত্রীর। সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন এবং বিডেন প্রশাসনের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করার কথা রয়েছে।