সংক্ষিপ্ত
- কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনায় পাকিস্তান বহুবারই পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে
- এর পাশাপাশি জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টাও চালাচ্ছে পাকিস্তান
- জার্মান সরকারের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে এই সবটাই করা হচ্ছে অবৈধভাবে
- ২০১০ সালে সরকার-কে এই নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন পাঁচ বামপন্থী সাংসদ
ভারতের পক্ষে যথেষ্ট ভয় ধরানো তথ্য। জার্মান সরকারের দাবি বেআইনিভাবে পাকিস্তান তাদের দেশ থেকে পরমানু, জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্রের বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি হাতানোর চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, গত কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তানের তরফে এই চেষ্টা চললেও ইদানিং কালে এই উদ্যোগ দারুণ বেড়ে গিয়েছে বলেই দাবি বার্লিনের।
রাসায়নিক, জৈব, রেডিওলজিকাল এবং পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে গবেষণা ও উৎপাদনে জার্মানি অন্যতম নাম। ২০১০ সালেই রাইখস্ট্যাগের পাঁচ বামপন্থী সাংসদ সরকারের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন বিদেশী কোনও রাষ্ট্র কি তাদের দেশ থেকে এই চার ধরণের অস্ত্র তৈরির প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও পণ্য সংগ্রহের প্রচেষ্টা করছে? এরই জবাবে সম্প্রতি জার্মান সরকার পাকিস্তানের এই অপচেষ্টার কথা জানিয়েছে।
জার্মান সরকারের দাবি, গত ২০১০ সাল থেকেই এই চেষ্টা চালিয়ে আসছে পাক সরকার। শুরুর দিকে ইরানও একই চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ২০১৬ সালের পর থেকে তা কমে গিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটা দেখা গিয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে তা বাড়তে বাড়তে এখন প্রায় চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে পাকিস্তানের হাতে বর্তমানে ১৩০ থেকে ১০টি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। পাক সরকারের পরিকল্পনা এই সংখ্যাটা ২০২৫ সালের মধ্যে ২৫০-এ নিয়ে যাওয়া। সেই কারণেই বর্তমানে তাদের মরিয়া ভাব দেখা যাচ্ছে। রিপোর্টে পাকিস্তানকে একেবারেই 'বিশ্বস্ত সঙ্গী নয়' বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৈধ পথে বিভিন্ন দেশে পারমাণবিক শক্তি তৈরির উপকরণ জোগান দেওয়া নিয়ন্ত্রণ করে নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার গ্রুপ বা এনএসজি। ২০১৬ সালে লন্ডনের কিংস কলেজের সামরিক বিশেষজ্ঞরা পাকিস্তান-কে এনএসজি গোষ্ঠী থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন। তাদের বক্তব্য। ছিল, সামনে পাকিস্তান অসামরিক ক্ষেত্রে পরমাণু শক্তি ব্যবহারের কারণ দেখালেও, তারা নানাভাবে পরমাণু অস্ত্র তৈরির উপাদান জোগার করে তা অসামরিক ক্ষেত্রের পাশাপাশি সামরিক ক্ষেত্রেও ব্যবহার করে।