সংক্ষিপ্ত

দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ার অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন তিনি গত ১০ দিন ধরে প্রায় ৩০ জন রোগীর চিকিৎসা করেছেন।

করোনাভাইরাসের (Coronavirus) নতুন রূপ ওমিক্রন (Omicron) নিয়ে যখন গোটা বিশ্ব নতুন করে সংক্রমণের আশঙ্কায় কাঁপছে তখনই আশ্বস্ত করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) এক চিকিৎস। এই চিকিৎসকই দিন কয়েক আগে ওমিক্রনের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি জানিয়েছেন, তিনি যেসব রোগীদের চিকিৎসা করেছেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি অপরিচিত লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু লক্ষণগুলি হালকা ছিল। রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগেই সুস্থ হয়ে গিয়েছিল। তিনি আরও বলেছেন অধিকাংশ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়নি। 

দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ার অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন তিনি গত ১০ দিন ধরে প্রায় ৩০ জন রোগীর চিকিৎসা করেছেন। যাদের প্রত্যেকেই করোনাভাইরাসের জন্য ইতিবাচক পরীক্ষা করেছিলেন। তাদের মধ্যে বেশ কিছু অপরিচিত লক্ষণ রয়েছে। একই সঙ্গে ওমিক্রনে আক্রান্তদের লক্ষণ সম্পর্কেও একটি স্পষ্ট ধারনা দিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন করোনার ওই স্ট্রেইনে আক্রান্তদের মধ্যে প্রবল ক্লান্তি  ছিল, পেশীতে মৃদু ব্যাথা, গলা ব্যাথা ও শুকনো কাশি হবে। তিনি আরও বলেছেন, বেশ কয়েকজনের সামান্য জ্বর ছিল। 

TMC: বেকারত্ব থেকে বিএসএফ, তৃণমূল কংগ্রেসের তোলা এই ১০টি ইস্যুতে উত্তাল হতে পারে সংসদ

Omicron Variant: ওমিক্রন রুখতে কতটা কার্যকরী টিকা, সতর্ক করলেন AIIMS প্রধান

China: পূর্ব লাদাখ সেক্টরে চিনের নয়া হাতিয়ার স্থানীয় তিব্বতিরা, আকসাই চিনে তৈরি হচ্ছে রাস্তা

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসকদের সতর্ক করে বলেছেন, করোনাভাইরাসের এই রূপটি প্রভাবশালী ডেল্টা রূপের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ততক্ষণে বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে বৈকল্পিকটি বেছে নিয়েছেন এবং এটি নিয়ে কাজকরছেন। তিনি আরও বলেছেন, তিনি লক্ষ্য করে দেখেছেন, এটি থেকে ভয় অনেকটাই কম। টিকা নেওয়া হয়নি এমন ব্যক্তিরা এই স্ট্রেইনে আক্রান্ত হওয়ার পরে তাদের মধ্যে হালকা লক্ষণ দেখা গিয়েছে। তবে এখনও এটিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিৎ নয়। আরও পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। তবে ইউরোপের প্রচুর মানুষ করোনা টিকা নিয়েছে তাই তাদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার ভয় অনেকটাই কম। 

কোয়েটিজ আরও বলেছেন ওমিক্রনের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে বেশির অধিকাংশ দেশই একঘরে করে দিয়েছে। কিন্তু পাল্টা তাদের দক্ষিণ আফ্রিকার প্রশংসা করা উচিৎ ছিল। তিনি বলেছেন এই দেশের চিকিৎসকরা রীতিমত তৎপরতার সঙ্গে স্ট্রেইনটিকে চিহ্নিত করেছেন। তিনি আরও বলেছেন এর অপরিচিত লক্ষণের কারণে ইউরোপের চিকিৎসকরা জিনটিকে চিহ্নিত করতে পারেননি।গত ২৪ নভেম্বর থেকেই করোনার নতুন এই রূপ নিয়ে রীতিমত আতঙ্ক বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। দক্ষিণ আফ্রিকাসহ একাধিক দেশে ইতিমধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। ওমিক্রন দ্রুততার সঙ্গে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।