সংক্ষিপ্ত

প্রয়াত সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভ। ৯১ বছর বয়েসে মস্কোর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

প্রয়াত সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভ। ৯১ বছর বয়েসে মস্কোর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিনধরেই একাধিক রোগে ভুগছিলেন তিনি মঙ্গলবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। ৩০ অগাস্ট গভীর রাতে মৃত্যু হয় সোভিয়েত ইউনিয়নের নোবেলজয়ী নেতা মিখাইল গর্বাচেভের। 
বিনা রক্তপাতে ঠান্ডা লড়াই-এর অবসান ঘটানোর নায়ক গর্বাচেভ মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট মস্কোর হাস্পাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালীন বয়স হয়েচ্ছিক ৯১ বছর। 
রাশিয়ার সেন্ট্রাল ক্লিনিক্যাল হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,"দীর্ঘ রোগের সঙ্গে লড়াই করার পর অবশেষে আজ রাতে মৃত্যু হয় মিখাইল গর্বাচেভের।"
গর্বাচেভের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গর্বাচেভের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে একটি টেলিগ্রামও পাঠান রাষ্ট্রপতি পুতিন। 
গর্বাচেভের মৃত্যুতে শোকাহত গোটা বিশ্ব। সমবেদনা জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন স্তরের নেতারা। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডার লেইন বলেছেন , "গর্বাচেভ একটি মুক্ত ইউরোপের পথ খুলে দিয়েছিলেন। ১৯৯০ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।"
মিখাইল গর্বাচেভ বিনা রক্তপাতে ঠান্ডা লড়াইয়ের অবশান ঘটিয়ে ১৯৯০ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। যদিও শত চেষ্টা সত্ত্বেও সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙন রুখতে ব্যর্থ হন তিনি। 
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন বলেছেন, "গ্লাসনোস্ট এবং পেরেস্ট্রোইকা, নিছক স্লোগান নয়, সোভিয়েত ইউনিয়নের জনগণের জন্য এত বছরের বিচ্ছিন্নতা এবং বঞ্চনার পরে এগিয়ে যাওয়ার পথ ছিল।" 
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ইউক্রেনে পুতিনের আগ্রাসনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, "গর্বাচেভের সোভিয়েত সমাজকে উন্মুক্ত করার অক্লান্ত প্রতিশ্রুতি আমাদের সবার কাছে একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।"

আরও পড়ুন'পার্থ-অনুব্রত দলের পচে যাওয়া অংশ', জহর সরকারের মন্তব্যে অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরে 


কয়েক দশক ধরে চলা ঠান্ডা লড়াই-এর পর গর্বাচেভের অক্লান্ত পরিশ্রম সোভিয়েত ইউনিয়নকে পশ্চিমের দেশগুলির কাছাকাছি নিয়ে আসে। মস্কোর নোভোদেভিচি কবরস্থানে তাঁর স্ত্রী রাইসার কবরের পাশেই চির নিদ্রায় নিমজ্জিত হবেন গর্বাচেভ। ১৯৯ সালে গর্বাচেভের স্ত্রী রাইসা মারা যান। 
গর্বাচেভের মৃত্যুতে সাবেক রাশিয়ান উদারপন্থী বিরোধী নেতা গ্রিগরি ইয়াভলিনস্কি বলেছেন, "তিনি রাশিয়া তথা ইউরোপকে স্বাধীনতার পথ দেখিয়েছেন। খুব কম নেতাই ইতিহাসের পাতায় এমন প্রভাব ফেলতে পারে।"

আরও পড়ুনএবার সিবিআই-এর নজরে অনুব্রতর চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, কেষ্ট-ঘনিষ্ঠদের বাড়িতেও চলল অভিযান