সংক্ষিপ্ত
আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিন তালিবানরা। মঙ্গলবার ঘোষণা করা হল অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দুই মন্ত্রী, গোয়েন্দাপ্রধান ও আফগানিস্তানের সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নরের নাম।
সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিন তালিবানরা। মঙ্গলবার তালিবানদের পক্ষ থেকে অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নতুন দুই মন্ত্রী, গোয়েন্দাপ্রধান ও আফগানিস্তানের সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নরের নাম ঘোষণা করা হল। যদিও সরকার এখনও গঠন করা হয়নি বা সেই সরকারের ধরণ কী হবে তাও পরিষ্কার করা হয়নি বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
আফগান সংবাদমাধ্যম পাজহোক-কে উদ্ধৃত করে তারা জানিয়েছে, অর্থমন্ত্রী করা হয়েছে গুল আগাকে। ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন সদর ইব্রাহিম। গোয়েন্দাপ্রধান নাজিবুল্লাহ। আফগানিস্তানের দ্য আফগানিস্তান ব্যাঙ্কের বা ডিএবি-র নতুন গভর্নর হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে হাজি মহম্মদ ইদ্রিস-কে। এ ছাড়া কাবুলের গভর্নর হয়েছেন মোল্লা শিরিন, আর মেয়র হলেন হামদুল্লাহ নোমানি।
"
গত ১৫ অগাস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল তালিবানরা। এরপর থেকে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা। প্রাথমিকভাবে কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবানদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে এর আগের আফগান সরকাররে কর্মকর্তাদের আলোচনা চলছিল। বর্তমানে অবশ্য তাদের রাজনৈতিক প্রধান বরাদর আফগানিস্তানে ফিরে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। সোমবারই তালিবা মুখপাত্র জাবিবুল্লাহ জানিয়েছিলেন খুব শিঘ্রই নতুন সরকার গঠনের ঘোষণা করবে তালিবানরা। তারপরই এই নতুন মন্ত্রী, গোয়েন্দা প্রধান, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের গভর্নর, কাবুলের মেয়র ও গভর্নরের নাম ঘোষণা করা হল।
আরও পড়ুুন - ২০৩০-এর মধ্যেই ৭০০ বিলিয়ন ডলার, প্যান্ডোরার বাক্স খুলছে ওপেন ডিজিটাল ইকোসিস্টেম
আরও পড়ুন - 'পাকিস্তানই ট্রেনিং দিচ্ছে তালিবানদের' - দেশ ছেড়েই বিস্ফোরক আফগান মহিলা পপ তারকা, দেখুন
আরও পড়ুন - মৃতদেহকেও ধর্ষণ করতে ছাড়ে না তালিবান - মেয়ে শরীর পেলেই হল, দেখুন ছবিতে ছবিতে
এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতায় ছিল তালিবানদের হাতে। তারপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হামলায় তারা ক্ষমতাচ্যুত হয়। তারপর ২০ বছর যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকার ছিল আফগানিস্তানের শাসনে। মার্কিন বাহিনী ও অন্যান্য বিদেশী দবাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগ করা শুরু করতেই অতি দ্রুত ফের দেশের ক্ষমতা দখল করেছে তালিবানরা। এর আগে তালিবানদের ইসলামি শরিয়া আইনের কঠোর প্রয়োগে দেশ শাসন করতে দেখা গিয়েছিল। নারীশিক্ষার উপর নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে মহিলাদের চলাফেরার উপর আরোপ করা হয়েছিল। চুরির মতো সামান্য অপরাধেও অঙ্গচ্ছেদের বিধান ছিল আফগানিস্তানে। এবার তারা আগের থেকে নরমপন্থী হওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। ইসলামি কাঠামোর মধ্যে মহিলাদের সম্মান করা হবে বললেও, মঙ্গলবারই জানা গিয়েছে মহিলা সরকারি কর্মীদের বাড়িতে বসে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।