সংক্ষিপ্ত

  • বুধবার রাত থেকেই বিমান হামলা শুরু করেছে তুরস্ক
  • সিরিয়ার কুর্দিশ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন 
  • বাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন ১০ হাজার বাসিন্দা
  • তুরস্কের এই অভিযানের বিরোধিতা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট 

সিরিয়ায় অভিযান নিয়ে ক্রমেই তুরস্কের সঙ্গে আমেরিকার উত্তেজনা বাড়ছে। বুধবারই তুরস্ক ঘোষণা করে, কুর্দিশ নেতৃত্বাধীন বাহিনী পরিচালিত অঞ্চলটিতে অভিযান চালাবে। আর তাতেই রেগে লাল হয়ে যান মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। অর্থনীতির দিক থেকে তুরস্ককে পঙ্গু করে দেবে বলেও হুমকি দেন ট্রাম্প। সেই হুমকিকে পাত্তা না দিয়েই বুধবার রাত থেকেই অভিযান চালাতে শুরু করে তুরস্ক। সিরিয়ার কুর্দিশ নেতৃত্বাধীন অঞ্চলটিতে তুরস্ক মূলত অভিযান চালাতে শুরু করেছে। তুরস্ক অভিযান প্রতিরোধ করার পালটা হুমিকও কুর্দিশ মিলিশিয়া বাহিনী জানিয়েছে। 

সিরিয়ার উত্তরে এবং তুরস্কের সীমান্তে রাস আল-ইন এবং তাল আবিয়াতে তীব্র গুলির লড়াই শুরু হয়েছে। বুধবার রাত থেকেই একের পর এক বিমান হামলা শুরু করে তুরস্কের সেনা বাহিনী। তুরস্কের হয়ে রণক্ষেত্রে মূলত সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী ফ্রি সিরিয়ান আর্মি লড়াই করছে। রাস আল-ইন এবং তাল আবিয়া শহর দুটির প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার রাত থেকেই বিমান হামলা শুরু হয়েছে। বিমান থেকে শহর দুটিকে লক্ষ্য করে বোমা বর্ষণ করা হচ্ছে। কুর্দিশ বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় কমপক্ষে সতেরো জন নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে। ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে ১৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে বহু মানুষ ঘর ছাড়তে শুরু করেছেন।কুর্দিশ বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ নিজেদের বাসস্থান ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ঘর ছেড়েছেন। 

তুরস্ক বাহিনীর মূল লক্ষ্য হল কুর্দিশদের সাফ করে, সেখানে একটি সেফ জোন বা নিরাপদ পঅঞ্চল গঠন করা হয়। যেখানে তুরস্ক প্রশাসন সিরিয়ার শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। অন্য দিকে, আমেরিকার সাহায্যকারী মূল বিদ্রোহী গোষ্ঠী কুর্দিশ মিলিশিয়া। এরা সিরিয়া থেকে আইএসকে বিতাড়িত করতেও সাহায্য করেছিল।