সংক্ষিপ্ত

দিন কয়েক আগেই ভয় ধরিয়েছিল ব্রিটেনের করোনা রূপান্তর

এবার আরও এক রূপান্তর মিলল দক্ষিণ আফ্রিকায়

ইতিমধ্যেই তা পৌঁছে গিয়েছে ব্রিটেনে

এই রূপান্তর আরও সংক্রামক বলে দাবি ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞদের

 

২০২০-র অধিকাংশটাই মহামারি ঠেকাতে বিশ্বব্যপী মানুষকে ঘরে বসে থাকতে হয়েছে। বছরের শেষে ভ্যাকসিনের আগমনে অনেকেই ভেবেছিলেন ২০২১ অন্তত অন্যরকম হবে। কিন্তু, ধীরে ধীরে সেই আশা মুঠছে যেতে বসেছে। ব্রিটেনে করোনার আরও সংক্রামক রূপ সনাক্ত করার পর এবার আরও সংক্রামক একটি রূপান্তর পাওয়া গেল দক্ষিণ আফ্রিকায়। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সেই রূপান্তরটি পৌঁছে গিয়েছে যুক্তরাজ্যেও।

বুধবার, ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা দুই যাত্রীর দেহে আরও একটি নতুন করোনার রূপান্তর সনাক্ত করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় গত কয়েক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ হুহু করে বাড়ছে। এর পিছনে এই নয়া রূপান্তরটি রয়েছে বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেনটি দেখার পর তাঁরা বুঝেছেন, ব্রিটেনের রূপান্তরটির পরও করোনা আরও বদলেছে নিজেকে। এখন সে আরও বেশি সংক্রামক হয়ে উঠেছে। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকাতে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ, প্রথম তরঙ্গের থেকেও বড় হবে।

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভ্রমণে অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্রিটেন। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গত কয়েক সপ্তাহে আসা ব্যক্তিদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা কারোর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও কোয়ারেন্টাইন করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যে আরও কঠোর লকডাউন জারি করা হচ্ছে। ক্রিসমাস ও বক্সিং ডে-র দিনগুলিতে নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ব্রিটেনের সরকার বলেছে, ২০২০ সাল সবার খুবই কঠিন গিয়েছে। তবে এখনই হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। একসঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুললেই এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।