সংক্ষিপ্ত

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ইউক্রেনের জেপোরজিয়া পরমাণু কেন্দ্রের বাইরে টহল দিচ্ছিল রুশ সেনা। সেই সময় ওই প্লান্টের বাইরে অবস্থিত একটি এডুকেশ ও ট্রেনিং কমপ্লেক্সের প্রায় প্রতিটি জায়গা থেকেই রুশ বাহিনীর উপর গুলি চালাতে শুরু করে ইউক্রেনীয় সেনা। 

আজ সাময়িকভাবে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি (Russia Ukraine Temporary Ceasefire) ঘোষণা করা হয়েছে রাশিয়ার (Russia) তরফে। আসলে সেখানে আটকে থাকাদের উদ্ধার করার জন্যই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু, রাশিয়া ইউক্রেনের (Ukraine) মধ্যে যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনও নামই নেই। যত দিন যাচ্ছে ততই খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি। আর দেশকে যখন এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তখন অভ্যন্তরীণ তরজার ছবি ধরা পড়ল ইউক্রেনে। গতকালই রাশিয়ার তরফে জাপোরজিয়া পরমাণু কেন্দ্রে (Zaporizhzhia Nuclear Power Plant) হামলা চালানো হয়। আর এর জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেই (Volodymyr Zelensky) দায়ি করলেন সেই দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মিকোলা আজারভ ( Mykola Azarov)। তাঁর অভিযোগ, জেলেনস্কির প্ররোচনাতেই পরমাণু কেন্দ্রে আঘাত করেছে রাশিয়া।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় অনুসারে শুক্রবার ইউক্রেনের জেপোরজিয়া পরমাণু কেন্দ্রের (Zaporizhzhia Nuclear Power Plant) বাইরে টহল দিচ্ছিল রুশ সেনা। সেই সময় ওই প্লান্টের বাইরে অবস্থিত একটি এডুকেশ ও ট্রেনিং কমপ্লেক্সের প্রায় প্রতিটি জায়গা থেকেই রুশ বাহিনীর উপর গুলি চালাতে শুরু করে ইউক্রেনীয় সেনা। তার পাল্টা জবাব দেয় রুশ সেনা। পরমাণু কেন্দ্র এবং তার আশপাশের এলাকা যাতে তেজস্ক্রিয় দূষণে ভরে যায়, তার জন্যই পরিকল্পিত ভাবে রুশ সেনাকে প্ররোচিত করা হয় বলে অভিযোগ করে রাশিয়া। আর তারপরই এই ঘটনার জন্য জেলেনস্কিকে সরাসরি দায়ি করেছেন আজারভ। 

আরও পড়ুন- রুশ হামলার পরে কী অবস্থা ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক চুল্লির, জানাল এটমিক এনার্জি সংস্থা

রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম স্পুটনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিকোলা বলেছেন, "অবশ্যই ইচ্ছাকৃত ভাবে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল। প্রথমত, কোনও সুস্থ বুদ্ধিসম্পন্ন রুশ বা ইউক্রেনীয় সৈনিক ইউরোপের বৃহত্তম পরমাণু কেন্দ্রে এই ধরনের প্ররোচনা জোগানোর সাহস দেখাবে না। তাই এটা পূর্ব পরিকল্পিত প্ররোচনা। দ্বিতীয়ত, ঘটনার পর রাতেই জেলেনস্কি যে ভাবে প্রতিক্রিয়া জানান, সরাসরি আমেরিকা এবং ব্রিটেনকে বার্তা দিতে মিথ্যে তথ্যের আশ্রয় নেন, তাতেই বোঝা যায় যে পরিকল্পনা করে প্ররোচনা জোগানো হয়। ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ করতেই এভাবে প্ররোচনা জোগান জেলেনস্কি।"

আরও পড়ুন- ৫ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি, প্রাণ বাঁচাতে হলে এই সময় সরে পড়ুন, ঘোষণা করল রাশিয়া

এদিকে, রুশ বিমান ঢুকে যাতে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করতে না পারে, তার জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের আর্জি জানিয়েছিল ইউক্রেন সরকার। কিন্তু, ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধের আর্জি খারিজ করেছে ন্যাটো। ন্যাটোর তরফে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের সেই প্রস্তাবে সদস্যদেশগুলির একটিও রাজি হয়নি। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউক্রেন ন্যাটোর (NATO) সদস্য নয়। তাই তাদের আকাশসীমা বন্ধ করতে হলে রুশ বিমানকে গুলি করে নামাতে হবে ন্যাটো এবং সদস্য দেশগুলিকে। যদিও এই মুহূর্তে রাশিয়ার সঙ্গে এভাবে সরাসরি যুদ্ধে যেতে রাজি নয় কোনও দেশই।

আরও পড়ুন- 'সন্তানের নাম অপারেশন গঙ্গার নামানুসারে দেব' ইউক্রেন থেকে গর্ভবতী স্ত্রীকে উদ্ধারের পর প্রতিক্রিয়া এক ভারতীয়র