বৃহস্পতিবারই রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধ যুদ্ধ ঘোষণা করে। তারপর স্থল, জল আর আকাশপথে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলা চালায়। রাশিয়া এটিকে সামরিক অভিযান বলে দাবি করেছে। বলেছে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি হবে না। 

রাশিয়ার (Russia) আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রীতিমত কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল ইউক্রেন (Ukraine)। রাশিয়ার এবার টেনে নিয়ে গেল আন্তর্জাতিক আদালতে (ICJ)। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিনমির জেলেনস্কি (Volodymyr zelensky) দাবি করেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসন কতটা ন্যায় সংগত ছিল তার জন্য জবাবদিহি করতে হবে রাশিয়াকে। পাশাপাশি আগ্রাসনের জন্য রাশিয়া নিরীহ ইউক্রেনবাসীদের যেভাবে হত্যা করতে তারও জবাব দিতে হবে। পুতিন (Vladimir Putin) ইউক্রেন গণসংহার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন জেলেনস্কি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যাতে দ্রুত বিচার শুরু করা যায় তারও দাবি করেছেন তিনি। 

বৃহস্পতিবারই রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধ যুদ্ধ ঘোষণা করে। তারপর স্থল, জল আর আকাশপথে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলা চালায়। রাশিয়া এটিকে সামরিক অভিযান বলে দাবি করেছে। বলেছে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি হবে না। কিন্তু বাস্তব বলছে অন্য কথা। কারণ রাশিয়ার ছোঁড়া বোমা আর ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে গুঁড়িয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সামরিক বেসমারিক পরিকাঠামো। রাজধানী কিয়েভ বিধ্বস্ত। বর্তমানে প্রায় তিন দিন থেকেই ইউক্রেনকে ঘিরে রেখেছে রাশিয়া। 

Scroll to load tweet…

জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া আক্রমণ চালানোর পরেও ইউক্রেন তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। কিন্তু রাশিয়ার দেওয়া বেলারুশে শান্তি চুক্তির আলোচনা খারিজ করে দেয়েছে তাঁর দেশ। তার কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন বেলারুশ থেকেও রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে। বেলারুশকে রাশিয়া লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করে। তবে ইউক্রেন অন্য দেশে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি রয়েছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। বেলারুশের পরিবর্তে ওয়ারশ, ইস্তাম্বুল বা বাকুতে যে তাদের আলোচনায় বসতে আপত্তি নেই তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন জেলেনস্কি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন যে দেশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয় না সেই দেশেই তিনি আলোচনার জন্য যেতে রাজি রয়েছেন। 

অন্যদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা প্রধানদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় সতর্ক থাকতে হবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে। কারণ রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের মধ্যেই পশ্চিমের দেশগুলি মস্কো আক্রমণ করতে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও বার্তা দেয়নি আমেরিকা ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি। কারণ আমেরিকা বা জার্মানি প্রথম থেকেই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলছে। অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সম্মানিক প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছ। সূত্রের কারণে যুদ্ধের কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ব্রিটেনে বিমান মহড়ায় 'না' ভারতের

পুতিনের প্রস্তাবে সাফ 'না' জেলেনস্কির, ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট আপাতত মিটছে না

ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের জন্য সুখবর, ভিসা লাগবে না পোল্যান্ডে যেতে