সংক্ষিপ্ত

ক্রমশ বাড়ছে ইউক্রেন-রাশিয়া (Ukraine-Russia Conflict) যুদ্ধের হুমকি। কিয়েভে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস (Embassy of India in Kyiv) থেকে, ভারতীয় নাগরিকদের সাময়িকভাবে ইউক্রেনে (Ukraine) ছাড়ার উপদেশ দেওয়া হল। 
 

ক্রমশ খারাপ হচ্ছে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের (Ukraine-Russia Conflict) পরিস্থিতি। বাড়ছে যুদ্ধের হুমকি। এর মধ্যে, মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি), কিয়েভে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস (Embassy of India in Kyiv) থেকে, ইউক্রেনে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের সাময়িকভাবে সেই দেশ ছাড়ার উপদেশ দিয়েছে। দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, বিশেষ করে যে সমস্ত শিক্ষার্থীদের সেখানে থাকাটা অপরিহার্য নয়, বর্তমান পরিস্থিতির অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ইউক্রেন ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা বিবেচনা করা উচিত। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA), ব্রিটেন (Britain) এবং অস্ট্রেলিয়াও (Australia) তাদের নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল। 

এদিন ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি উপদেশাবলী প্রকাশ করা হয়েছে ইউক্রেনে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের জন্য। তাতে বলা হয়েছে, প্রয়োজন না হলে ইউক্রেনে এই মুহুর্তে ভারতীয়দের ইউক্রেনে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকা উচিত। দূতাবাসের পক্ষ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনে তারা কী অবস্থায় আছেন, তা জানাতে। সেই ক্ষেত্রে, কোনও প্রয়োজনে দূতাবাস তাদের কাছে পৌঁছতে সক্ষম হবে। যুদ্ধের গন্ধের মধ্যেও কিয়েভের ভারতীয় দূতাবাস বলেছে, ইউক্রেনে ভারতীয় নাগরিকদের সমস্ত পরিষেবা প্রদানের জন্য দূতাবাস তার স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন - ৮ দিনের মধ্যেই কি শুরু হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, আমেরিকার বিবৃতিতে গোটা বিশ্বে আতঙ্ক

আরও পড়ুন - ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা, রাশিয়ার গতিবিধি বৃদ্ধির প্রমাণ দিচ্ছে নয়া উপগ্রহ চিত্র

আরও পড়ুন - রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সতর্ক করল আমেরিকা, পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হচ্ছে

গত কয়েকদিনে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া কয়েক হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে। তবে, তারা এখনও বলছে, তাদের ইউক্রেনে হামলা চালানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে, সোমবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দিচ্ছে। সেখানে অবশিষ্ট সমস্ত কর্মীকে পোল্যান্ডের (Poland) সীমান্তের কাছের শহর লভিভে (Lviv) নিয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকেই ইউক্রেন দূতাবাসের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন (Anthony Blinken)। 

অন্যদিকে, এই যুদ্ধ ঠেকাতে কূটনৈতিক স্তরেও চলছে জোরদার প্রচেষ্টা। গত সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। ১ ঘন্টার ফোনালাপেও সমাধান সূত্র বের হয়নি। তবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা চালায়, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো (NATO) তার জবাব দেবে। তিনি বলেন, প্রতিক্রিয়া হবে 'দ্রুত এবং গুরুতর'। তবে তারপরও, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জারি রয়েছে। এই অবস্থায় গোটা বিশ্ব ইউক্রেনে কী ঘটছে, তার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলেছে।