সংক্ষিপ্ত

রাশিয়ার মিত্র দেশ হিসেবে পরিচিত চিন। এই সময় বেজিংএর শীতকালীন অধিবেশন চলছে। তাই রাশিয়া এই সময়ই কিছুতেই আক্রমণ করবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।  কিন্তু ২০ ফেব্রুয়ারি শীতকালীন অলিম্পিক্স শেষ হবে। 

ক্রমশই জটিল হচ্ছে ইউক্রেনের (Ukraine) পরিস্থিতি। শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) দেশের নাগরিকদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে  দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে কোনও সময়ই রাশিয়া (Russia) ইউক্রেনে বড়সড় হামলা চালাতে পারে। হোয়াইট হাউসের (White House) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানিয়েছেন ইউক্রেনের পাশে এক লক্ষেরও বেশি রুশ সেনা মোতায়েন রয়েছে। রাশিয়া যেকোনও সময়ই ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে। 

রাশিয়ার মিত্র দেশ হিসেবে পরিচিত চিন। এই সময় বেজিংএর শীতকালীন অধিবেশন চলছে। তাই রাশিয়া এই সময়ই কিছুতেই আক্রমণ করবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।  কিন্তু ২০ ফেব্রুয়ারি শীতকালীন অলিম্পিক্স শেষ হবে। তার আগেই রাশিয়া যে হামলা চালাবে না তার কোনও নিশ্চিয়তা নেই। তিনি আরও বলেছেন রাশিয়ার রাশিয়া কখন কী করবে একটি একান্তই রাশিয়ার চিন্তাভাবনা। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাখার জন্য দেশের নাগরিকদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। 

ইউক্রেনের ইপর যদি এই অবস্থায় রাশিয়া হামলা চালায় তাহলে  সম্ভবত বোমারু বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করতে পারে। যা শুধুমাত্র সেনা বহিনী নয় সাধারণ মানুষকেও নির্বিচারে হত্যা করা হবে। আতামী ২৪-৪৮ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই দেশের নাগরিকদের দ্রুত ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। হোয়াইটহাউস সূত্রের খবর ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কথা বলবেন রাশিয়ার প্রধান ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়ের ম্যাক্রোও পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। 

রাশিয়ান নৌবাহিনী ও সৈন্যরা ইতিমধ্যেই ইউক্রেনকে দক্ষিণ পূর্ব ও উত্তর দিক থেকে সম্পূর্ণরূপে ঘিরে ধরে রেখেছে। রাশিয়া প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন রাশিয়া ও  ইউক্রেনের মধ্যে কখনই ন্যাটোকে প্রবেশ করতে দেবে না। অন্যদিকে পুতিনকে পূর্ব ইউরোপ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে চাইছে আমেরিকা। পেন্টাগন জানিয়েছেন তারা মিত্র পোল্যান্ডকে শক্তিশালী করতে আরও ৩ হাজার সেনা পাঠাবে। তবে জার্মানি জানিয়েছে, তাদের মূল উদ্দেশ্যই হল যুদ্ধ প্রতিহত করা। 

রাশিয়ার ইউক্রেনের ওপর  সামরিক অবরোধের পাশাপাশি আর্থিক অবরোধও তৈরি করেছে।  কিন্তু একটা সময় সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যেই ছিল ইউক্রেন। পরবর্তীকালে তা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু রাশিয়া ও ইউক্রেন দুটি দেশেই সংস্কৃতের মিল রয়েছে। ইউক্রেনের রুশ ভাষার আধিপত্য রয়েছে। একটা সময় দুটি দেশের সম্পর্কও ভালো ছিল। দুটি দেশই পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলির সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে।  কিন্তু বর্তমান রয়েছে ইউক্রেনের অত্যাধিক ইউরোপ প্রীতি মেনে নিতে নারাজ পুতিন। তাই রাশিয়া  একদমই চাইছে না ইউক্রেন ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হোক। সেই জন্যই চাপ তৈরি করা হচ্ছে। পুতিন যদিও বলেছেন হামলা চালানোর কোনও পরিকল্পনা নেই তাদের। তবে সম্প্রতি ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি সীমান্তবর্তী এলাকায় বেলারুশের সঙ্গে সামরিক মহড়াও চালিয়েছে। যা আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ইউক্রেনের।

রাজনীতি থেকে শিল্প সমান দক্ষ রাহুল বাজাজ, সরাসরি প্রশ্ন করেছিলেন অমিত শাহকে

ওমিক্রনের পরবর্তী রূপ আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে, সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

১৮-র সুন্দরীকে বিয়ে করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল্ড পাক রাজনীতিবিদ আমির লিয়াকত