সংক্ষিপ্ত
পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্তে নারী দিবসের দিন বহু নারী ও শিশুদের বর্ডার পার করার করুন ছবি দেখতে পাওয়া গেল। যা ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে।
ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণের পর কেটে গিয়েছে ১২ দিনের বেশি সময়। এদিকে এদিকে আগ্রাসী রুশ সেনার ভয়ে ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ ইউক্রেনীয় নিজ দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন অন্য দেশে। ইউক্রেনের পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে হু হু করে বাড়ছে ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের সংখ্যা। এদিকে নারী দিবসের দিনও কার্যত সেই ছবিই দেখতে পাওয়া গেল ইউক্রেন বর্ডারে। পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্তে(Poland-Ukraine border) নারী দিবসের দিন বহু নারী ও শিশুদের বর্ডার পার করার করুন ছবি দেখতে পাওয়া গেল। যা ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে। সেই পোলান্ড বর্ডারেই ইউক্রেণীয় শরণার্থীদের(Ukrainian refugees) সঙ্গে কথা বলল এশিয়ানেট নিউজ(Asianet News)।
যুদ্ধ আবহের মধ্যে দাঁড়িয়ে বর্তমানে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে ইউক্রেনবাসী। সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষেরা। অনেকেই বর্তমানে তাদের প্রিয় পরিবার ও বন্ধুবান্ধব ছেড়ে পোল্যান্ড সহ অন্য দেশে পালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে কেউই তাদের ভবিষ্যত নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না। তবে তারা সকলেই তাদের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির উপরে ভরসা করছেন। তাদের আশা শীঘ্রই এই যুদ্ধে ইতি টানতে সমর্থ হবেন রাষ্ট্রপতি। শীঘ্রই তারা ফের ফিরতে পারবেন স্বদেশে। তারা আরও বিশ্বাস করেন যে তাদের প্রিয় রাষ্ট্রপতি ভোলদিমির জেলেনস্কি তাদের জন্য সবটুকু দিয়ে লড়াই করছেন। সহজ কথায় এই তীব্র সঙ্কটজনক সময়েও দেশ ছাড়া ইউক্রেনীয়রা তাদের রাষ্ট্রপতির প্রতি তাদের ভালবাসা প্রদর্শন করতে একফোঁটাও পিছুপা হচ্ছে না। তাদের জোরালো বিশ্বাস রাষ্ট্রপতির হাত ধরেই তারা ফের তাদের জন্মভূমিতে ফিরতে পারবেন।
আরও পড়ুন- শান্তির বার্তা দিতে বাংলার বুকে করা হল মহাযজ্ঞের আয়োজন
আরও পড়ুন-খুশিতে ৩৬ হাজার রসগোল্লা বিতরণ তৃণমূল কাউন্সিলরের
আরও পড়ুন- যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা বাড়ি ফিরল ৩ পড়ুয়া, খুশির হাওয়া পরিবারে
এই প্রসঙ্গে বলতে এশিয়ানেট নিউজকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউয়ে এক শরণার্থী বলেন "জেলেনস্কি আমাদের সেরা রাষ্ট্রপতি। তিনি আমাদের জন্য, ইউক্রেনের জন্য যুদ্ধ করছেন। আমরা তাকে ভালোবাসি। আমরা ফের আমাদের জন্মভূমিতে ফিরে যাব। যুদ্ধ শেষ হবেই। আমরাই এটা করতে পারি।" এদিকে যুদ্ধের ১২তম দিনে রাশিয়া ইউক্রেনের উপর আক্রমণের তীব্রতা আরও বাড়িয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। একাধিক শহরে নতুন করে শুরু হয়েছে গোলাবর্ষণ। খারকিভের বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকাতেও হামলা হয়েছে। এদিকে ইতিমধ্যেই উভয় দেশের প্রতিনিধিদল তৃতীয়বারের মতো আলোচনায় বসলেও কোনো লাভ হয়নি। এমতাবস্থায় রণংদেদী পুতিনের আগ্রাসী মনোভাব কবে শান্ত হয় এখন সেটাই দেখার।